উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়াদের বিশেষ উপহার। রাজ্য হোক বা সর্বভারতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা। যে কোন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় যাতে রাজ্যের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে অংশগ্রহণ করতে পারে তারজন্য কেরিয়ার গাইডেন্সের মাধ্যমে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল সংসদ।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক- ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিকেল। বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়ারা উচ্চমাধ্যমিক শেষ করার পর নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়তে যে কোনও একটা পথ বেছে নেয়। এরজন্য রাজ্য জয়েন্ট হোক বা সর্বভারতীয় স্তরের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় তাদের বসতে হয়। রাজ্যে সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের এমন অনেক শিক্ষার্থী আছে যাদের মেধা থাকলেও সঠিক গাইডেন্স পাই না। তাঁদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এক বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রথমবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের জন্য চালু করা হল কেরিয়ার গাইডেন্স। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘কম্পিটিটিভ গাইডেন্স প্রোগ্রাম’।এর মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিকেল নিয়ে পড়ার জন্য প্রতিযোগিতামূলক প্রবেশিকা পরীক্ষার সঠিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য গণিত, রসায়ন ও পদার্থবিদ্যার ক্লাস করানো হচ্ছে। আর মেডিকেল-এর জন্য বায়োলজি, রসায়ন ও পদার্থবিদ্যার ক্লাস করানো হচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেলের প্রবেশিকার প্রস্তুতির জন্য এক্সপার্ট শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের দিয়েই ক্লাস করানো হচ্ছে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন ” এখন দুটো গ্রুপে প্রশিক্ষণটি হচ্ছে। একটা হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য অর্থাৎ যাদের ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও ম্যাথামেটিক্স আছে আর একটা করা হচ্ছে মেডিকেলের জন্য অর্থাৎ যাদের ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও বায়োলজি আছে । এটা আপাতত অফলাইন মুডেই হচ্ছে। এখন হচ্ছে কলকাতা এবং পার্শ্বস্থ জেলাগুলির মধ্যে । কিন্তু এরপর আরও দূরবর্তী জেলাগুলোতে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।”
গ্রীষ্মের ছুটিতে সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা করে ক্লাস হয়েছে।পাশাপাশি প্রতিদিন ক্লাস শেষে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার আদলে মক টেস্টও নেওয়া হচ্ছে। তবে এখন স্কুল খুলেছে তাই সপ্তাহে একদিন শনিবার করে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। প্রচুরসংখ্যক ছাত্রছাত্রী যারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছে, যারা মেডিকল বা ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই তারা এই প্রশিক্ষণ নিতে যথেষ্ট আগ্রহী। ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সংসদ সভাপতি। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩ তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়া এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে। এবং ক্লাসেও অংশগ্রহণ করেছে। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি-সহ পার্শ্ববর্তী জেলার পড়ুয়ারাই এই প্রশিক্ষণের সুযোগ পাচ্ছে তবে পরবর্তীকালে তা রাজ্যের আরও বেশি জেলায় এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।