ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে ফের একবার সুর চড়ালেন এসএফআই সদস্যরা। সর্বভারতীয় সম্মেলনের আগে কলকাতার রাজপথে এসএফআইয়ের মহাসমাবেশ। হাওড়া ও শিয়ালদাহ থেকে এসএফআই সদস্যরা মিছিল করে কলেজস্ট্রীটে সম্মেলনে যোগদান করেন। মিছিলে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি একাধিক দাবিতে সুর চড়ান এসএফআই সদস্যরা।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক
কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি একাধিক দাবি নিয়ে ফের একবার মিছিলে হাঁটলো এসএফআই। ২৭ থেকে ৩০ জুন কেরলে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সম্মেলন রয়েছে। তার আগে নিজের দাবি নিয়ে সুর চড়ালেন এসএফআই এর সদস্যরা। সোমবার হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে দুটি মিছিল এসে মিলিত হয় কলেজস্ট্রীটে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে এফএফআই এর সদস্যরা একত্রিত হয়ে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে মিছিল করে কলেজ স্ট্রীটে পৌছায়, অন্যদিকে একই সঙ্গে হাওড়া স্টেশন থেকেও কয়েকশো এসএফআই সদস্য এসে মিছিল করে পৌঁছান কলেজ স্ট্রিটে। কলেজ স্ট্রীটেই করা হয়েছিল মূল মঞ্চ। যেখানে বক্তব্য রাখেন এসএফআই এর সদস্যরা।
১)দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে বন্ধ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন। অবিলম্বে সরকারকে সেই নির্বাচন করাতে হবে ২)স্কুলগুলিতে পরিচালন সমিতির নির্বাচন করতে হবে। ৩) স্কুল ও কলেজ বেসরকারিকরণ করা যাবে না। অর্থাৎ স্কুল ও কলেজ বেসরকারিকরণের প্রতিবাদ। ৪) মিড ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। সেই সঙ্গে মিড-ডে মিলের দুর্নীতি রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে তার দাবি তোলা হয় এই মিছিলে। ৫) ছাত্রছাত্রীদের ক্যাম্পাসে ফ্রি ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে হবে, সেই দাবিও তোলা হয় মিছিল থেকে।৬) কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। ৭) এছাড়া জাতীয় শিক্ষানীতিরও বিরোধিতা জানানো হয় এসএসআই এর পক্ষ থেকে।
২৭ থেকে ৩০ জুন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এডএসআই এর সর্বভারতীয় সম্মেলন। কেরালার কোঝিকোড়ে হবে এসএফআইয়ের ১৮ তম সর্বভারতীয় সম্মেলন। এই সম্মেলনে আলোচনার বিষয় হিসেবে একাধিক বিষয়কে ইস্যু করা হতে পারে। সেই সম্মেলনের আগে সোমবার রাজ্যের স্কুল-কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক একাধিক বিষয়কে কেন্দ্র করে দাবি তোলে এসএফআই এর সদস্যরা। এদিন শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন থেকে বেলা ২.৩০ মিনিটে মিছিল এসে পৌঁছায় কলেজ স্ট্রীটে। মূল মঞ্চ করা হয় কলেজ স্ট্রীটে। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সৃজন ভট্টাচার্য, দীপ্সিতা ধর, সৌরভ পালোধী, দেবদীপ ভট্টাচার্য ছাড়াও আরও অনেকে। পাশাপাশি এদিনের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নিহত আনিস খানের বাবাও। প্রথমে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হয় এদিনের সম্মেলন। তারপর বক্তারা একে একে বক্তব্য রাখেন মঞ্চে।