বিধায়ক হয়েও এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে পারছেন না। রাজনৈতিক কারণেই তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ধর্নায় বসার হুঁশিয়ারি দিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- বুধবার বিধানসভায় উল্লেখ পর্বে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভায় বিরোধী দলের মুখ্যসচেতক শংকর ঘোষ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “স্যর, আমি আপনাকে আগেও জানিয়েছি। আজ আবার বলছি। আমার এলাকায় শিলিগুড়িতে একটি ওয়ার্ডে ল্যাম্প পোস্ট বসানোর জন্য গত দেড় বছর ধরে বলে যাচ্ছি। কিন্তু কিছুতেই সেটা হচ্ছে না।” এই সময় শংকর ঘোষ আরো অভিযোগ করে বলেন, গত সাড়ে চার বছরে আমি অনেকবার আপনাকে বলেছি, মুখ্যমন্ত্রী কে জানিয়েছি, কিন্তু আমার বিধানসভা এলাকায় বিধায়ক তহবিল থেকে কোনো কাজের কথা বললেও সেই কাজ হয় নি।”
এই প্রসঙ্গেই পরে বিধানসভায় নিজের কক্ষে বসে শংকর ঘোষ বলেন, “রাজনৈতিক কারণে শিলিগুড়ি শহরের মানুষ, আমার বিধানসভার মানুষকে বঞ্চিত করছে এরাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার। একজন বিধায়ক হিসাবে আমার বিধানসভা এলাকার কোনো কাজের জন্য প্রপোজাল জমা দেওয়ার পরেও দীর্ঘদিন ধরে সেই কাজ হচ্ছে না। আমার জমা দেওয়া প্রপোজাল শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ বা শিলিগুড়ি মিউনিসিপ্যালিটি রাজনৈতিক কারণেই আটকে রাখছে, বা কাজ সমাপ্ত হচ্ছে না। কাজ শেষের সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না। স্পিকার সাহেব, মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, বিভাগীয় মন্ত্রী, সচিব, শিলিগুড়ির মেয়র সবাইকে জানিয়েও কাজ হচ্ছে না। যেনতেন প্রকারে শংকর কে কাজ করতে দেওয়া যাবে না। এই নীতি নিয়ে এরা চলছে।” এমন অভিযোগ করে শংকর ঘোষ বলেন, “এর প্রতিবাদে আগামীকাল বিধানসভায় বিরতির সময় আমি ধরনা দেবো।”
এদিকে অধিবেশন কক্ষে শংকর ঘোষের অভিযোগের পরই দেখা যায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে রুলিং দিয়ে বলেন, “এই ধরনের অভিযোগ (বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলের কাজ আটকে থাকা) আমাকে অনেক বিধায়ক করেছেন। এটা ঠিক নয়। আমি সংশ্লিষ্ট সব মহলকেই বলছি আপনারা এই বিষয়ে জেলা শাসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিন। বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলের কাজ এইভাবে আটকে থাকা ঠিক নয়।”