২০২৬ সালেই আসতে চলেছে অ্যাভেঞ্জার্স ডুমসডে শুটিং শুরু। সর্বাধিক ব্যয়বহুল এই হলিউড সিনেমা টি কতটা সফল হতে পারে বক্স অফিসে?
মৌসুমী সাহা,সাংবাদিক- সর্বকালের সবচেয়ে প্রত্যাশিত ছবিগুলির মধ্যে একটি মার্ভেলের স্টুডিও অ্যাভেঞ্জার্স ডুমসডে বর্তমানে নির্মানাধীন। অ্যাভেঞ্জার্স ফ্রাঞ্চাইজির পঞ্চম ছবিটিতে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী হিরোদের মুখোমুখি হবে মার্বেলের চূড়ান্ত খলনায়ক ডক্টর ডুম, যার চরিত্রে অভিনয় করবেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। রুশো ব্রাদার্স পরিচালিত অ্যাভেঞ্জার্স পঞ্চম এবং এম সি ইউ-র ৩৯ তম চলচ্চিত্র এটি। ২০২৬ সালের মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে এই চলচ্চিত্রটি। অভিনয়ে রয়েছেন পেড্রো পাককাল, ভেনেসা কিরবি ,জোসেফ কুইন, অ্যান্থালি মাকি, সেবাস্তিয়ান ট্যান, টম হিডিলস্টন সহ প্রথম সারির অভিনেতারা।
১৯৯০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে” টাইটানিক “ছবি তৈরি করেছিলেন দু’শো বিলিয়ন ডলার খরচ করে এবং তার প্রচারেও লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছিল কিন্তু এবারে সর্বকালীন ব্যয়বহুল হতে চলেছে এই চলচ্চিত্রটি অ্যাভেঞ্জার্স ডুমসডে মার্বেল কেবল প্রি-প্রোডাকশনে আট মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে যা “অ্যান্ট ম্যান অ্যান্ড দ্য ওয়্যাস্প”, “ওয়ান টু ম্যানিয়ার ভাই “এর খরচের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ছবিটির জন্য মার্ভেল স্টুডিওয় ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের মত খরচ হতে পারে কিন্তু এটা শুধুই নির্মাণের খরচ বিপণন এবং প্রচারের জন্য আরও লক্ষ লক্ষ ডলার ব্যয় করা হবে। সিক্রেট বক্স নির্মাণ শুরু না হওয়া পর্যন্ত এটি অ্যাভেঞ্জার্স এর সর্বকালীন সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা হতে চলেছে।
অ্যাভেঞ্জার্সে ভিএফএক্স-এর অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এতে থাকা ৩৫ জন শীর্ষ তালিকার তারকাদের দেখা যাবে যাদের পারিশ্রমিকের পিছনেই প্রায় আড়াইশো মিলিয়ন ডলার খরচ করা হচ্ছে। তবে এত খরচা করে আদৌ কতটা মন জয় করতে পারে সকলের আর কতটা মুনাফা ঘরে তুলতে পারে প্রযোজক-পরিচালক, এখন শুধু সেটাই দেখার অপেক্ষা ।