তারকাখচিত প্রিমিয়ার এবং আশাব্যঞ্জক পর্যালোচনার মাধ্যমে, “সিতারে জমিন পর” ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে একটি উল্লেখযোগ্য মুক্তির সূচনা করতে চলেছে। ছবিটির এখন অব্দি অ্যাডভান্স বুকিং ২ কোটি, যেটি আমির খানের ছবি হিসাবে অনেকই কম।
চক্রযুদ্ধ ঘোষ ,সাংবাদিক –”সীতারে জমিন পর” এর প্রতীক্ষিত প্রিমিয়ার সম্প্রতি মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের অসংখ্য তারকাদের আকর্ষণ করেছে। ছবির প্রধান অভিনেতা এবং প্রযোজক আমির খান এই অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছিলেন, যেখানে শাহরুখ খান এবং সালমান খান সহ, সিনেমা শিল্পের খ্যাতিমান ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রিমিয়ারে শাহরুখ খান এবং সালমান খান তাদের স্টাইলিশ পোশাকে দুর্দান্ত উপস্থিতি দেখালেন এবং দর্শকদের নজর কাড়লেন। শাহরুখ একটি কালো জ্যাকেট, কার্গো জিন্স এবং তার সিগনেচার শেড পরেছিলেন, যা অনায়াসে আকর্ষণ প্রকাশ করেছিল। এদিকে, সালমান খান একটি সম্পূর্ণ কালো পোশাক বেছে নিয়েছিলেন, তার সিগনেচার স্টাইল প্রদর্শন করেছিলেন। উভয় অভিনেতাকেই ফটোগ্রাফারদের জন্য পোজ দিতে এবং আমির খান এবং নবাগত অভিনেতাদের সহ ছবির কাস্টদের সাথে আলাপচারিতা করতে দেখা গেছে।
প্রিমিয়ারে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সেলিব্রিটিরাও উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন
ভিকি কৌশল: নীল শার্ট এবং ডেনিম পরা ভিকি সন্ধ্যার গ্ল্যামার আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
রেখা: সোনালী শাড়ি পরে আমির খানের সাথে ছবি তোলার জন্য পোজ দিচ্ছেন এই প্রবীণ অভিনেত্রী। জিতেন্দ্র: অভিনেতা তার ছেলে তুষার কাপুরের সাথে এসে সন্ধ্যায় স্মৃতির ছোঁয়া যোগ করেছেন। তামান্না ভাটিয়া: অভিনেত্রীকে একটি মার্জিত ধূসর পোশাকে উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল।
রিয়া চক্রবর্তী: গোলাপী টি-শার্ট এবং নীল ডেনিমে রিয়া একটি আরামদায়ক কিন্তু স্টাইলিশ লুক বেছে নিয়েছিলেন। টাইগার শ্রফ: অভিনেতা সম্পূর্ণ সাদা পোশাকে আকর্ষণীয় প্রবেশ করেছিলেন।
“সিতারে জমিন পর” তার অনন্য গল্পের জন্য আলোচনা তৈরি করেছে, যা স্নায়ুবৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তিদের উপর দৃষ্টির জন্যে নিবেদন করে। ছবিটি ইতিবাচক পর্যালোচনা পেয়েছে, কিছু সমালোচক গল্প বলার ক্ষেত্রে এর সাহসী এবং ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতির প্রশংসা করেছেন। বাণিজ্য বিশ্লেষক ওয়েবসাইট ‘Sacnilk’ মতে, ছবিটি প্রথম দিনে ৬ কোটি টাকারও বেশি আয় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তারকাখচিত প্রিমিয়ার এবং আশাব্যঞ্জক পর্যালোচনার মাধ্যমে, “সিতারে জমিন পর” ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে একটি উল্লেখযোগ্য মুক্তির সূচনা করতে চলেছে। ছবিটির এখন অব্দি অ্যাডভান্স বুকিং ২ কোটি, যেটি আমির খানের ছবি হিসাবে অনেকই কম। কিন্তু এই ছবিটির বিষয় বস্তু টাই এমন যে এটি সাধারণ একটি ফর্মুলায় তৈরী “মাস” অ্যাকশন ছবির মতন হবে না। এটি ধরেই এগোতে হবে। আমাদের দেশে সাধারন দর্শক কে টানতে এসব ছবির “ওয়ার্ড অফ মাউথ” শক্তিশালি হতে হবে। তা না হলে মানুষ অ্যাকশন, প্রেম, এবং কমেডির জন্যে ভিড় করবেই। অবশ্য এখন এই ধরণের সিনেমা গুলি ও ভালো মানের হতে হবে, তা না হলে মানুষ ওটিটি তে দেখার ব্যবস্থা করে নিচ্ছে।
সময় বলবে “সীতারে জমিন পর” মুক্তির পরেও জামীনেই থাকে নাকি চমকায়ে আকাশে।