‘ব্রিজ কোর্স’ নিয়ে কড়া রাজ্য শিক্ষা দফতর। নির্দেশিকা মেনে এক বছরের মধ্যে ‘ব্রিজ কোর্স’ না করলে চাকরি হারাতে হবে। এমনই কড়া নির্দেশিকা জারি করল স্কুলশিক্ষা শিক্ষা দফতর।
নাজিয়া রহমান সাংবাদিক-প্রাথমিক স্তরে ‘ব্রিজ কোর্স’ বাধ্যতামূলক। কিন্তু প্রাথমিক স্তরের প্রায়, সাত হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা এই কোর্স করা নেই। এই কোর্স এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে তাঁদের। তাই নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করল স্কুল শিক্ষা দপ্তর। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের (এনসিটিই) তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছিল, রাজ্যের দেওয়া নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে দেশের সমস্ত স্কুলের ইন-সার্ভিস বিএড ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের এই কোর্স করা বাধ্যতামূলক । এনসিটিই এই নির্দেশিকা জারি করার পর নড়েচড়ে বসে দেশের বেশ কিছু রাজ্য। কেন্দ্রীয় নির্দেশ মত এই কোর্স চালুও হয়েছে সেই সব রাজ্যে। এবার পশ্চিমবঙ্গ সেই নির্দেশমত কড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করল। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলের বক্তব্য, “যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে এবং এন সি টি ই র গাইডলাইন আছে তাই এধরণের প্রত্যেক ক্যান্ডিডেটকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এই প্রশিক্ষণ নিতেই হবে, ত নাহলে চাকরি চলে যাবে। রাজ্যেরও দায়িত্ব প্রতিটি ক্যান্ডিডেট যাতে প্রশিক্ষণ নিতে পারে সেটা নিশ্চিত করা এবং কেউ বাদ পড়ে যাচ্ছে কিনা সেটা নজরদারি করা। এর জন্য ডি পি এস সি গুলোকে আরো সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।”
প্রসঙ্গত, এই বিজ্ঞপ্তি মূলত স্তরে সেই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য যারা ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের মধ্যে চাকরি পেয়েছেন। সূত্রের খবর, ২০১৮-২০২৩ সালের মধ্যে নিয়োগ হওয়া প্রায় ৭ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা বিএড করে প্রাথমিকে চাকরি করছেন। সেই সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের এক বছরের মধ্যে অনলাইনে ৬ মাসের এই কোর্স করতে হবে। যদি কেউ না করে তাহলে সেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে তাঁর চাকরি হারাতে হতে পারে।
এই ব্রিজ কোর্স নিয়েএনসিটিই-র তরফ থেকে জানানো হয়, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং-এর থেকে অনলাইনে এবং দূরশিক্ষা মাধ্যমে ‘ব্রিজ কোর্স’ করা যাবে। এনসিটিই -এর এই ব্রিজ কোর্স করা বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। বিতর্ক সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। সমস্ত দিক পর্যবেক্ষণ করে সুপ্রিম কোর্টের রায় এনসিটিই -এর পক্ষেই যায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রাথমিকের শিক্ষক পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীদের বিএড প্রশিক্ষিত হওয়া যথেষ্ট নয়। প্রাথমিকের শিক্ষকতার জন্য ডিএলএড অথবা ডিএড ডিগ্রিও থাকা প্রয়োজন। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয় যাদের শুধু মাত্র বিএড-এর প্রশিক্ষণ নেওয়া আছে তাদের ব্রিজ কোর্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ মেনেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনসিটিই। এনসিটিই -এর নির্দেশ মেনে ব্রিজ কোর্স নিয়ে কড়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর। নির্দেশ না মানলে চাকরি খাওয়াতে হবে বলে কড়া হুঁশিয়ারি শিক্ষা দপ্তরের।