সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটে গেছে বৃহস্পতিবার। একসঙ্গে প্রায় ২৫০ জন মানুষ প্রাণ হারালেন এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায়। এই মুহূর্তে ঠিক কোন মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন মৃতদের পরিবার তা বলাই বাহুল্য। এই আবহে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে টাটা গোষ্ঠী। মৃতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ অভিশপ্ত বিমানে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ২৪১ জনই, এর পাশাপাশি মেঘানিনগরের বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে বিমানটি ভেঙে পড়ার দরুণ সেখানেও অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ ফলে মোট কতজন মানুষ প্রাণ হারালেন সেই সংখ্যা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে টাটা গোষ্ঠী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন যে, এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট 171-এর মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এই মুহূর্তে আমরা যে শোক অনুভব করছি, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমাদের সমবেদনা এবং প্রার্থনা সেই পরিবারের প্রতি যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন এবং যারা আহত হয়েছেন। টাটা গোষ্ঠী এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো প্রতিটি ব্যক্তির পরিবারকে 1 কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করবে। আহতদের চিকিৎসা খরচও আমরা বহন করব এবং তাদের প্রয়োজনীয় সকল যত্ন এবং সহায়তা নিশ্চিত করব। পাশাপাশি, আমরা বিজে মেডিকেলের হোস্টেল নির্মাণে সহায়তা প্রদান করব। এই অকল্পনীয় সময়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে আছি।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের উপর ভেঙে পড়ে। বিস্ফোরণও হয়। তাতে বহুতলটিই প্রায় সম্পূর্ণ ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে। ওই হস্টেলটি পুনর্নির্মাণে টাটা গোষ্ঠী সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছেন চন্দ্রশেখরণ। টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘‘যা ঘটেছে, তার জন্য কোনও শব্দই যথেষ্ট নয়। যে সব পরিবার তাদের কাছের মানুষদের হারাল, যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের সকলের জন্য প্রার্থনা করছি।’’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, “আমেদাবাদের বিপর্যয়ে আমি মর্মাহত, দুঃখিত। এই বেদনা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এই দুঃখজনক পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের জন্য প্রার্থনা করছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে রয়েছেন মন্ত্রী এবং প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। আমি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি।
বৃহস্পতিবার গুজরাতে আমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরুর পাঁচ মিনিট পরেই ভেঙে পড়েছে লন্ডনগামী বিমানটি। অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, বিমানটিতে ২৪২ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন বিমানকর্মী। বিমানবন্দরের ভিতরের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ওড়ার কিছু ক্ষণ পরেই বিমানটি বাঁ দিকে হেলে পড়তে থাকে। একই সঙ্গে লেজের অংশটি নীচের দিকে নামতে নামতে হঠাৎ মাটিতে ভেঙে পড়ে। যার জেরে একধাক্কায় চলে গেল এতগুলো প্রাণ।