হকের চাকরি ফেরত চেয়ে এবার আমরণ অনশনে সামিল চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা। ৪০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলছে অনশন। তীব্র গরমে ক্রমশ স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছে অনশনকারীদের। তবু দাবি না মেটা পর্যন্ত আমরণ অনশনে অনড় চাকরিহারারা।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক- রিভিউ পিটিশন না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার ফর্ম ফিলআপ করা বা পরীক্ষা নেওয়া যাবে না, করতে হবে যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ, পাশাপাশি করতে হবে ওএমআর শিটের মিরর ইমের প্রকাশ। এই দাবিকে কেন্দ্র করে আমরণ অনশনে সামিল চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা। বৃহস্পতিবার রাত বারোটা থেকে অনশনে বসেছেন মিতা সরকার,চিন্ময় মন্ডল, কৌশিক সরকার, বলরাম বিশ্বাস,সুকুমার সরেন, বিকাশ রায়, মানিক মজুমদার, কিশোর কুমার রায়, অনির্বাণ সাহা, অচিন্ত্য দাস। কয়েকজন অনশনকারীর স্বাস্থ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে তাঁরা অনশনে অনড়।
প্রসঙ্গত,চলতি সপ্তাহের গত বৃহস্পতিবার এসএসসি ভবন অভিযানে সামিল হন চাকরিহারারা। তারপর এদিন নিজেদের দাবি নিয়ে চাকরিহারাদের ৮ জনের একটি প্রতিনিধি দল বিকাশ ভবনে এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক করেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে গত ৩০ মে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এসএসসি। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ১৬ জুন থেকে শুরু হচ্ছে অনলাইন ফর্ম ফিল আপ প্রক্রিয়া। চলবে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। সেই তারিখ যাতে পিছিয়ে দেওয়া হয় চাকরিহারাদের পক্ষ থেকে বৈঠকে সেই দাবি জানানো বৃহস্পতিবার এসএসসির চেয়ারম্যানের কাছে। কিন্তু বৈঠক শেষে চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা জানান, “মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র”। তারপর থেকেই তাঁরা অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে টানা চলছে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে ১০ জন প্রতিনিধির অনশন। ক্রমশ তাঁদের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে বলে বক্তব্য চকরিহারাদের। আন্দোলনের অন্যতম মুখ চিন্ময় মণ্ডলের বিপি বেড়ে যায়। অন্যান্য অনশনকারীদেরও শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে আন্দোলনে অনড় তাঁরা। দাবি না মেটা পর্যন্ত আমরণ অনশন করবেন তাঁরা এমনটাই বক্তব্য অনশনকারীদের।