তিনজনের বাড়ি যথাক্রমে হরিয়ানা, বিহার এবং রাজস্থানে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত আসলুপ খান একসময় দিল্লি পুলিশে কর্মরত ছিলেন, যদিও ২০১৬ সালে তাকে বরখাস্ত করা হয়। এই ঘটনায় তদন্তে নামে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।
সুপ্রিয় বসাক, জলপাইগুড়ি, সাংবাদিক- ময়নাগুড়ি ব্লকের বৌলবাড়ি এলাকায় এটিএম লুটের ঘটনার পর মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বড় সাফল্য পেল ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। গত শুক্রবার গভীর রাতে বৌলবাড়ি এলাকার একটি এটিএম বুথ থেকে দুইটি মেশিন ভেঙে টাকা লুট করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৫ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা নগদ। গ্রেফতার হওয়া তিনজন হলেন আসলুপ খান, শামসের খান এবং ইরফান খান। তিনজনের বাড়ি যথাক্রমে হরিয়ানা, বিহার এবং রাজস্থানে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত আসলুপ খান একসময় দিল্লি পুলিশে কর্মরত ছিলেন, যদিও ২০১৬ সালে তাকে বরখাস্ত করা হয়। এই ঘটনায় তদন্তে নামে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। রবিবার সকালে বৈকুণ্ঠপুর বন বিভাগের সরস্বতীপুর জঙ্গল এলাকা থেকে আসলুপ খান ও শামসের খানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হলে আদালত দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। রবিবার দিনভর জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে সন্ধ্যায় ধরা পড়ে তৃতীয় অভিযুক্ত ইরফান খান।
সোমবার তাকেও আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ জানায়, লুটের ঘটনার পর ভোররাতে দুষ্কৃতীরা গাড়ি ফেলে গজলডোবার গেটবাজার এলাকায় পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় একটি সাদা রঙের আসাম নম্বরযুক্ত স্করপিও গাড়ি। গাড়ির ভেতর থেকে গ্যাস কাটার যন্ত্র, তিনটি নম্বর প্লেট (আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশের), মাস্ক, টুপি এবং দিল্লি পুলিশের টুপি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সুপার সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, এই চক্রটি দেশজুড়ে একাধিক এটিএম লুটের ঘটনায় জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে নানা রাজ্যে অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় আরও দুইজন জড়িত রয়েছে, যাদের খোঁজে বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলে এখনও অভিযান চলছে।