উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে লুটের ঘটনার অভিযোগ পাচ্ছিল দিল্লি পুলিশ। এরপরই বিভিন্ন সূত্র ধরে ডাকাতদের খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিশ।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- ডেটিং অ্যাপকে ব্যবহার করে অপহরণ থেকে ধর্ষণ, বিভিন্ন রকমের অপরাধমূলক ঘটনা ঘটতে আগেই দেখা গেছে। আবারও অপরাধের হাতিয়ার সেই ডেটিং অ্যাপ। লুট করার জন্য এবার ডেটিং অ্যাপকে ব্যবহার করল ডাকাতেরা। ডেটিং অ্যাপে ফাঁদ পেতে একের পর এক লুটের ঘটনা সামনে এল দিল্লিতে। বেশ কয়েক দিন ধরেই উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে লুটের ঘটনার অভিযোগ পাচ্ছিল দিল্লি পুলিশ। এরপরই বিভিন্ন সূত্র ধরে ডাকাতদের খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিশ। শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যমুনা খাদর এলাকায় কয়েক জনকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে। খবর পেয়েই পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযানে যায়। পুলিশকে আসতে দেখেই ডাকাতেরা জঙ্গলের দিকে পালানোর চেষ্টা করে। তৎক্ষণাৎ তাদের আটকানোর চেষ্টা করলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে ডাকাতেরা। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। ২ পক্ষের মধ্যে কয়েক রাউন্ড গুলির লড়াই চলে। সেই সংঘর্ষে ২ ডাকাতের পায়ে গুলি লাগে। আরও ১ ডাকাত পালাতে গিয়ে পড়ে আহত হয়। তিন জনকেই ধরে ফেলে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, নিউ উসমাননগরে ডাকাতি করার জন্য জড়ো হয়েছিল ধৃত তিন ডাকাত। ধৃতদের নাম সমীর, তরুণ এবং কুণাল। সমীরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে পুলিশের খাতায়। ডাকাতি এবং অপহরণের মামলা রয়েছে বাকি দু’জনের বিরুদ্ধেও। জেরায় ধৃতেরা জানায়, ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রথমে তাদের শিকারের সঙ্গে আলাপ জমাতেন তারা। এরপর ধীরে ধীরে বিশ্বাস অর্জন করে তাঁদের। নানান ছলে ঠিকানাসহ বাকি তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হতো। তার পর সেই ঠিকানায় চলত অপারেশন। এই ভাবে বেশ কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট চালায় ৩ জনের এই ডাকাত দলটি। শিকারকে ফাঁদে ফেলতে কোন ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করা হতো, সেই তথ্যও পুলিশকে দিয়েছে ডাকাত দল।