বেশির ভাগ মানুষের ঠান্ডা জলে স্নান এর উপকারিতা থাকলেও অনেকেরই ঠান্ডা জলে স্নান এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
মৌসুমী সাহা, সংবাদিক- ঠান্ডা জলে স্নানের অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন – প্রদাহ কমানো, চুলকানি কমানো,স্কিন এর যত্নে এমন ক এনডোরফিন নিঃসরণএর মাধমে শক্তি বৃদ্ধি করা।তবে এগুলো সবার জন্য ঠিক নয় ,তাদের জন্য ঝুঁকি বাড়ে।যেমন যাদের ডায়াবেটিস বা শ্বাস কষ্টের মতো সমস্যা রয়েছে তাদের রোজ ঠান্ডা জলে স্নান এরিয়ে যাওয়া উচিত।দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন যারা বা একটু দুর্বল প্রকৃতির তাদেরও ঠান্ডা জলে স্নান এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
নিয়মিত ঠান্ডা জলে স্নান রক্তনালী সংকুচিত করে রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি করতে পারে।যাতে করোনারি আর্টারি ডিসিজ বা হার্ট ফেইলিওর এর মত সমস্যা হতে পারে ,এককথায় হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। ঠান্ডা জলে স্নান উচ্চ রক্তচাপের মানুষদের ঝুঁকি বাড়ায়।এছাড়াও যাদের সেরিব্রোভাস্কুলার রোগের ইতিহাস আছে তাদের সতর্ক থাকা উচিত।স্ট্রোক থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঠান্ডা জলে স্নান করা উচিত নয়।যারা বেশি বয়স্ক মানুষ তাদের রোজ ঠান্ডা জলে স্নান না করার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা,কারণ তাদের হৃদরোগ এবং হাইপোথারমিয়ার ঝুঁকি থাকে।যে সমস্ত রেন্সড রোগে আক্রান্ত মানুষরা রয়েছে তাদের ঠান্ডা লাগার কারণে হাত এবং পায়ের আঙ্গুলের মতো হাত পায়ের রক্তনালী গুলো অতিরিক্ত সংকুচিত হয়ে যায়,তাই ঠান্ডা জলে স্নান এদের অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে।
এই সমস্যা গুলো ছাড়া প্রায় সবাই ঠান্ডা জলে স্নান করে আরাম পেতে পারেন।আর যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে চিকিৎসকের পরামর্শে ভালো থাকার জন্য যা করা দরকার সেভাবেই চললে উপকৃত হবেন।