কবে ইউজিসি- নেট? জানালো এনটিএ।

ইউজিসি- নেট কবে, তা ঘোষণা করল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি অর্থাৎ এনটিএ। জুন মাসের কত তারিখের মধ্যে হবে এই পরীক্ষা তা জানিয়ে দিল পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা এনটিএ। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে অপশন হিসেবে মোট ৮৫ টি বিষয় পাবেন।

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক

ইউজিসি-নেট পরীক্ষাটি ভারতীয় নাগরিকদের সহকারী অধ্যাপক এবং জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ পদে নিয়োগের জন্য যোগ্যতা নির্ধারক পরীক্ষা। ইউজিসি নেট পরীক্ষা সাধারণত বছরে দুইবার অনুষ্ঠিত হয় – জুন ও ডিসেম্বর মাসে। এই পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা হল এনটিএ অর্থাৎ ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। যেহেতু সেই পরীক্ষা জুন মাসে হওয়ার কথা পূর্বেই ঘোষিত ছিল । সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ২১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত বলা হলেও এবার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করল এই পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি অর্থাৎ এনটিএ। এনটিএ তরফ থেকে জানানো হয়েছে চলতি মাসের আগামী ২৫ জুন থেকে ২৯ জুনের মধ্যেই নেওয়া হবে এই পরীক্ষা। প্রতিদিন দুটি ধাপে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নেওয়া হবে প্রথম ধাপের পরীক্ষা। আর দুপুর ৩টে থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত নেওয়া হবে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা।

প্রতিটি পেপারে ১৫০ টি অবজেক্টিভ টাইপ প্রশ্ন থাকে এবং পরীক্ষার সময়কাল ৩ ঘণ্টা।  মোট ৮৫ টি বিষয়ের মধ্যে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ মিলবে। প্রথমার্ধ ও দ্বিতীয়ার্ধ মিলিয়ে কোন দিন কি পরীক্ষা হবে তার বিস্তারিত সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন বাছাই করা কেন্দ্রে এই পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। এটি মূলত কম্পিউটার বেসড পরীক্ষা। এর জন্য অনলাইনে পরীক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে। এনটিএ- এর নির্দিষ্ট পোর্টালের মাধ্যমে এই পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে। সেই নির্দিষ্ট পোর্টালের আবেদনই গৃহীত হবে বলে জানানো হয়েছে। ইউজিসি নেট-এর ‘সিটি ইন্টিমেশন স্লিপ’ প্রকাশ করা হবে পরীক্ষার ১০ দিন আগে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এটাও জানানো হয়েছে অ্যাডমিট কার্ড পাওয়ার টিকিট দেওয়া হবে পরীক্ষার দু-তিন দিন আগে। এনটিএ-এর দেওয়া ugcnet.nta.ac.in-এ ওয়েবসাইটে পরীক্ষার বিস্তারিত সূচি এবং বাকি তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।প্রার্থীদের সাধারণত স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হয়। JRF জেআরএফ অর্থাৎ জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ এর জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা 30 বছর হতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতায় স্নাতকোত্তরে ৫৫ শতাংশ নম্বর থাকা আবশ্যক। পরীক্ষার্থীর সিলিবাসের সঠিক জ্ঞান থাকা উচিত। পরীক্ষার্থীর প্রস্তুতি হিসেবে এই পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী মডেল প্রশ্নপত্র প্র্যাক্টিস করা উচিত। এতে পরীক্ষা ভালো হবে বলে মত শিক্ষকমহলের একাংশের।