বছরের পর বছর ধরে প্লাস্টিক বর্জন করা নিয়ে বিভিন্ন রকমের সচেতনতামূলক বার্তা বা কর্মসূচীর পরেও প্লাস্টিকের ব্যবহার হয়েই চলেছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য অন্তত প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা প্রয়োজন।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- ৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। দিনটিকে কেন্দ্র করে সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন রকমের পরিবেশ রক্ষা সংক্রান্ত কর্মসূচী পালন করা হয়ে থাকে। তবে এই একটা দিন পালন করে কি আদৌ পরিবেশ রক্ষা বা দূষণ মুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব? বছরের পর বছর ধরে প্লাস্টিক বর্জন করা নিয়ে বিভিন্ন রকমের সচেতনতামূলক বার্তা বা কর্মসূচীর পরেও প্লাস্টিকের ব্যবহার হয়েই চলেছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য অন্তত প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা প্রয়োজন। তবে দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিক এতোটাই ওতপ্রোতভাবে জড়িত যে কীভাবে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা যাবে তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না।
সহজ কয়েকটি উপায়ে প্লাস্টিক বর্জন করা সম্ভব বলেই মনে করছেন পরিবেশবিদরা।
১) প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করা দরকার। তার পরিবর্তে কাপড়ের বা পাটের ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। তার ফলে প্লাস্টিকের ব্যবহার অনেকটাই কমানো সম্ভব। পাশাপাশি দূষণও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
২) অনেকেই বাড়ি থেকে জলের বোতল নিয়ে বাইরে বেরতে ভুলে যান বা বেরোন না। ফলে পিপাসা পেলে জল কিনে খান। এই মিনারেল ওয়াটারের বোতল যেখানে সেখানে ফেলে দেন বা বাড়িতে নিয়ে যান। এই অভ্যাস বদলে রিইউজেবল বোতল ব্যবহার করুন। যা প্লাস্টিক ব্যবহারের প্রবণতা কমাবে।
৩) রান্নাঘরে সাদা প্লাস্টিকের কৌটো জমানোর অভ্যাস থাকে অনেকের। এই ধরণের কৌটোকে বিদায় জানিয়ে পরিবর্তে স্টিল বা কাঁচের কৌটো ব্যবহার করতে পারেন।
৪) ক্যাফে কিংবা রেস্তরাঁয় অনেকেই প্লাস্টিকের স্ট্র, চামচ, প্লেট ব্যবহার করে থাকেন। নিজের ক্যাফে বা রেস্টুরেন্ট থাকলে প্লাস্টিকের সামগ্রী ব্যবহার করবেন না, আপনি যদি ক্রেতা হন তাহলে এগুলির বিরোধিতা করুন। বাড়িতে প্লাস্টিকের চামচ স্ট্র ব্যাগে ভরে আনবেন না। পরিবর্তে বাঁশ, আখ, কাগজ বা পাটের সামগ্রী ব্যবহার করতে পারেন।
৫) ফল, শাকসবজি, চাল, ডালের প্যাকেট রান্নাঘরে জমাবেন না। জমানো মানেই তা ব্যবহার করা। তাই হাতে আসা মাত্রই প্লাস্টিকের সব প্যাকেট নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দিন।
৬) শ্যাম্পু, তেলের প্লাস্টিকের কৌটো বা বোতল রিইউজ করবেন না। তা ফেলে দেওয়াই ভাল।
৭) সাবান, রান্নার তেল, স্ন্যাকসের মতো জিনিসপত্র যা প্লাস্টিকের প্যাকেটে পাওয়া যায় তা একসঙ্গে বেশি পরিমাণে কিনুন। এর ফলে বাড়িতে প্লাস্টিক আসবে কম। ব্যবহারও হবে কম।
এরকম কয়েকটি কৌশলে নিজের বাড়িকে প্লাস্টিকমুক্ত করা সম্ভব। নিজের বাড়ি প্লাস্টিকমুক্ত হলে পরিবেশও ক্রমেই প্লাস্টিকমুক্ত হয়ে উঠবে।