মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর আর্জি জানিয়ে আবারও একবার মেইল ও চিঠি লিখল শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ। এই চিঠিতে তাঁদের পাঁচটি দাবি তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎএর আর্জি চাকরিহারাদের।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এপ্রিলের ৩ তারিখ ২০১৬ সালের এসএসসি-র প্যানেল বাতিল হয়েছে। যার ফলে এখন চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক – শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী। সরকারের পক্ষ থেকে রিভিউ পিটিশন করা হয়েছে। কিন্তু কি তাঁদের চাকরির ভবিষ্যৎ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মরিয়া চাকরিহারা আন্দোলনকারীরা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়ে তাঁরা ফের একবার চিঠি লিখলো চাকরিহারারা । পাশাপাশি মেইলও করেছে তাঁরা। চিঠিতে চাকরিহারাদের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে” আমরা এসএলএসটি ২০১৬ প্যানেলের অন্তর্গত বৈধভাবে নিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকাI সিবিআই সহ অন্যান্য নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী১৫৪০৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা সম্পূর্ণ নির্দোষ এবং নিরপরাধ। আমরা এই গোষ্ঠীর অন্তর্গত। তারপরেও গত০৩.০৪.২০২৫ তারিখে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আমাদের চাকরি বাতিল হয়েছে। অথচ যে এসএসসি র দুর্নীতির কারণে আমাদের জীবন জীবিকা সংকটের সম্মুখীন, সেই এসএসসি- র হাতেই পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই রায়ের পুনর্বিবেচনার জন্য আমরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছি। রাজ্য সরকার, পর্ষদ ও এসএসসি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে। এই সমস্ত বিষয়ে আমরা বারবার সরকারের সাক্ষাৎ ও সহযোগিতা চেয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা সরকারের সহযোগিতাও সাক্ষাৎ পাই নি।” তাই আবারও একবার তাঁরা চিঠি লিখলো।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার চিঠি লিখেও কোন কাজ না হওয়ায়, চাকরিহারাদের ৬ জন প্রতিনিধি নিজেদের দাবি ও সমস্যার কথা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর ইচ্ছে নিয়ে কালীঘাটে চলে যান। কিন্তু কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ীর কাছে পৌঁছে গিয়েও কোনও ফল হয়নি।কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার বৈধ অনুমতি না থাকায় সেই ৬ জন কে আটক করে কালীঘাট থানায় নিয়ে যায় পুলিশ তারপর কিছুক্ষণ পরে ছেড়ে দেয়। তারপর হকের চাকরি ফিরে পেতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দাবিতে অনশনে বসেন চাকরিহারারা। চলছে তাঁদের অনশন কর্মসূচি। তার মাঝেই আবারও মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাৎ চেয়ে তাঁরা চিঠি লিখলেন। চিঠিতে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা ৫টি দাবি তুলে ধরেন। যথা-১) সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ এর রেজাল্ট না দেখে, পরিকল্পিতভাবে নতুন পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করানো যাবে না।২) যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।৩) ওএমআর পাবলিশ করা ও আইন সঙ্গত উপায়ে রি- প্যানেলের মাধ্যমে চাকরি ফেরানোর ব্যবস্থা করা।৪) যোগ্য চাকরি হারাদের চাকরি যেকোন মূল্যে ফিরিয়ে দেওয়ার দায় রাজ্য সরকারকে নিতে হবে।৫) সুপ্রিম কোর্টের জাজমেন্টের পুনর্বিবেচনার জন্য তৎপরতা ও সক্রিয়তা দেখাতে হবে।মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের প্রার্থনা অবিলম্বে এই দাবির স্বপক্ষে তিনি যেন দেখা করেন।