রোগ প্রতিরোধ আমাদের শরীরের স্বাভাবিক ক্ষমতা যা আমাদের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। তবে অবশ্যই রাখতে হবে সব কিছুর ব্যালেন্স।
মৌসুমী সাহা, সাংবাদিক -অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন, ভেজাল এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে শরীর সহজেই আক্রান্ত হয় নানা অসুখে। অল্প পরিশ্রমে আসে ক্লান্তি। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস সামগ্রিক সুস্থতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে, তবে নির্দিষ্ট কোন একটি খাবার খেলে শরীরের সুস্থতা বজায় থাকবে এমনটা নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ভিটামিন , ফ্যাট এই সবগুলোই আপনার শরীরের চাহিদা পূরণ করে এবং গড়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে মাছ, মাংস, ডাল বিভিন্ন ধরনের বীজ যেমন (কুমড়োর বীজ, সিমের বীজ) ইত্যাদি। খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে দুধ জাতীয় খাবার, যাতে ফ্যাট, ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে, যা শরীরে প্রচুর শক্তি যোগায়। টাটকা শাকসবজিতে ও রয়েছে ভিটামিন এবং মিনারেলস যা শরীরকে ভালো রাখে। রোগ প্রতিরোধকারী ফলের মধ্যে যে যে ফলগুলো বিশেষ উপকারী তাদের মধ্যে অন্যতম ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এ ভরপুর পেঁপে। পেঁপেইন এবং ফাইবার রয়েছে পেঁপেতে যা অন্ত্র কে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন আমলকী ও। ভিটামিন সি তে ভরপুর আমলকি আপনাকে সংক্রমণ এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে। ফলের মধ্যে আরো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো ডালিম। ডালিমেও ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে।
এছাড়া খাদ্য তালিকা সংযোজন করতে পারেন হলুদ। হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে হলুদ। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে আদা। অত্যন্ত উপকারী আদাতে থাকা জিঞ্জেরলে আন্টিঅক্সিডেন্ট, প্রদাহ রোধ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। দারচিনি খুবই প্রয়োজনীয় একটি মসলা, যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে এমনকি প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্যও রয়েছে এবং রয়েছে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তবে মনে রাখবেন খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি সুস্থ জীবনধারা রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম ,নিয়মিত ব্যায়াম ,মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয় গুলো দরকার। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা দরকার। আর মানসিক স্বাস্থ্য অনেকাংশেই আমাদের শারীরিক সুস্বাস্থ্যের সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে।