পুরুষ কিংবা মহিলা বর্তমানে কেউই চান না অতিরিক্ত ওজন বা ভারী শরীর। কারণ অতিরিক্ত ওজন যেমন বিভিন্ন রোগের আঁতুরঘর তেমনি আধুনিক পোষাকেও আপনি বেমানান। কিন্তু এই অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য কি করা উচিত। আপনি কি ডায়েট করবেন না কি জিমে যাবেন। ডায়েট বনাম জিমের বিতর্ক চলতেই থাকবে।
জুলেখা নাসরিন, সাংবাদিক: নয় নয় করে পুজো প্রায় চলেই এসেছে বলা যায়। সারা বছর শরীর-স্বাস্থ্যের কথা মাথায় না থাকলেও, পুজোর আগে পছন্দের জামাটা কিনতে গিয়ে যদি ফিটিংস না হয়, তখনই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে স্বাস্থ্য ‘সচেতন’ বাঙালীর। ভিড় বাড়ে জিমে। অনেকে আবার ক্রাস ডায়েটও বেছে নেন। অন্যের চোখে নিজেকে সুন্দর করে তুলতে গিয়ে হঠাৎ করে ওজন কমিয়ে নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনছেন না তো।
সুন্দর আকর্ষণীয় চেহারার কদর সর্বত্র। আর এই চেহারায় নিজেকে দেখতে গেলে কিংবা শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে ঘাম তো আপনাকে ঝরাতেই হবে। মেদ ঝরানোর কথা ভাবলে প্রথমেই মাথায় আসে ডায়েটিং ও ওয়ার্ক আউট। আবার এমন অনেকে আছেন যাদের ওয়ার্ক আউটে এলার্জি। অথচ খেতে খুব ভালবাসেন। কিন্তু ওজন কমাতে চান। সেই সমস্ত মানুষরা কি করবেন। প্রথমেই বলি ঘাবড়াবেন না। কারণ কথাতেই আছে ইচ্ছা থাকলে সব হয়। ইচ্ছা শক্তির জয় সর্বত্র।
বাড়তি মেদ ঝরিয়ে যারা নিজেকে সুন্দর ছিপছিপে দেখতে চান তাদের জন্য বেশ কিছু পরামর্শ-
১। এটা আপনাকে মাথায় ঢুকিয়ে নিতে হবে, ওজন কমানো একটি ধীর এবং স্থির প্রক্রিয়া। তাই ওজন কমাতে প্রথমে দরকার ধৈর্য আর সংযমের।
২। নিজের জীবনযাত্রা পরিবর্তন করুন। আপনার জীবনের ছোট ছোট পরিবর্তনও আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। এই যেমন ধরুন, লিফটের পরিবর্তে সিঁড়িতে ওঠানামা অভ্যাস করুন।
৩। মানসিক চাপ, টেনশন, উদ্বেগ কিন্তু আপনার ওজন বৃদ্ধির কারণও হতে পারে। তাই একটু চেষ্টা করুন চাপ মুক্ত থাকার, যতটা সম্ভব হয়।
৪। খাবারে চিনির পরিমাণ কমিয়ে দিন। মিষ্টি খুব পছন্দের খাবার হলেও লোভ সংবরণ করতে চেষ্টা করুন।
৫। ঘুম, আপনার ওজন কমানোর জন্য চিন্তামুক্ত ৭-৮ঘন্টা ঘুম খুব প্রয়োজন।
তবে এটা ভুললে চলবে না ওজন কমানোর জন্য ডায়েট আর ওয়ার্ক আউট দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সঠিক ডায়েট হয়তো আপনাকে সুস্থ রাখবে কিন্তু ওয়ার্ক আউট আপনার ক্যালোরি বার্ন করতে সাহায্য করবে। যা আপনাকে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যকর ডায়েট আর নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন কমাতে ও সুস্থ জীবনযাপনের জন্য একে অপরের পরিপূরক।