২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে এরাজ্যে একটা আসনেও জিততে পারে নি সিপিএম, কংগ্রেস। সেই থেকে কংগ্রেস বা বামেদের শূন্য পাওয়া দল বলে কটাক্ষ করে তৃণমূল। বিশেষ করে বামেদের বিরুদ্ধে এই শব্দবন্ধ টি ব্যবহার করে তৃণমূলের প্রায় সব নেতা। এবার বিধানসভাতে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ‘শূন্য’ শব্দটি শোনা গেল। কিন্তু কাদের উদ্দ্যেশে এমন বললেন মুখ্যমন্ত্রী !
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- সোমবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হওয়ার পর বিজেপির পক্ষ থেকে আনা মুলতবি প্রস্তাব খারিজ করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই বিজেপি বিধায়করা অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অধিবেশন কক্ষেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অধ্যক্ষ বারবার বারণ করলেও তাঁরা বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে থাকেন। এরপর অধ্যক্ষের নির্দেশ না মানায় বিজেপির কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওঁরাও কে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ। তারপরেই কিছুক্ষণ অধিবেশন কক্ষে শ্লোগান সাউটিং করার পর ওয়াক আউট করে বেরিয়ে যান। এরপর অধ্যক্ষের অনুমতি নিয়ে বিধানসভায় বিবৃতি দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি ওই শূন্য পাওয়ার কথা বলেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি হাউসে এলেই দেখেছি, বিজেপি প্রশ্ন করার মতো বা বিতর্ক করার মতো কিছু থাকে না বলেই, শুধু অপপ্রচার করতে থাকে, অপশব্দ ব্যবহার করে।” এরপরই বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওদের হাফ মিনিস্টার, আমাদের পাড়ায় এক পাঞ্জাবী অফিসারকে জুতো ছুড়েছেন। ওরা শিখ সম্প্রদায়কে অপমান আগেও করেছে।” এরপর বিজেপিকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা দেশের মানুষ কে নিরাপত্তা দিতে পারেন না। দেশকে বিক্রি করে দিয়েছেন। গুজরাতে যেদিন হলো (বিমান দুর্ঘটনা) আমরা কিছুই বলি নি।” এরপরেই প্রসঙ্গক্রমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এত হাওয়াই চটি ভালোবাসলে, হাওয়াই চটির দোকান করুন। ভালো ব্যবসা হবে।” সেই সঙ্গে বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষ ছুঁড়ে বলেন, “২০২৬ এ আপনারা শূন্য হয়ে যাবেন।”