দিলীপ ঘোষ আছেন নিজের খেয়ালেই। যখন রাজ্য বিজেপির তামাম ছোটো বড় মেজ নেতা কর্মি নতুন সভাপতিকে বরণ করার কাজে ব্যস্ত তখন তিনি এই শহর থেকে দুরের শহরের বাজারে বসে ডুগডুগি বাজাচ্ছেন। আর হাসছেন নিজের মনে। দিলীপ ঘোষ আছেন নিজের মেজাজেই।
বিকাশ সেন, দুর্গাপুর- বুধবারই জানা গিয়েছে রাজ্য সভাপতি হিসাবে দ্বিতীয়বারের জন্য দিলীপ ঘোষের ফেরার এই মুহূর্তে আর কোনো সম্ভাবনা নেই। কেন্দ্রিয় নেতৃত্বের নির্দেশে রাজ্য বিজেপির পরবর্তী সভাপতি হয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। ফের দায়িত্ব না পাওয়ায় কি কিছুটা ক্ষুণ্ন দিলীপ ঘোষ ?
গতকাল শমীক ভট্টাচার্যের মনোনয়ন পর্বে যেখানে বিদায়ী সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কে শমীকের দুই দিকে দেখা গেল, তখন সেখানে উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতি ছিলো দিলীপ ঘোষের। আর যেদিন শমীক ভট্টাচার্য আনুষ্ঠানিকভাবে দলের সভাপতিত্ত্বের ভার গ্রহণ করতে চলেছেন, সেদিন সকালে কলকাতা থেকে প্রায় ১৭০/৮০ কিঃমিঃ দুরে দুর্গাপুর শহর লাগোয়া এক বাজারে বসে ডুগডুগি বাজাতে দেখা গেল দিলীপ ঘোষ কে।
বরাবরের বর্ণময় চরিত্র দিলীপ ঘোষের এইভাবে ডুগডুগি হাতে বসে থাকা, বা প্রাতঃভ্রমণেও ডুগডুগি হাতে নিয়েই ঘুরে বেড়ানোর মধ্যে আপাতভাবে হয়তো তেমন কোনো ইঙ্গিত নেই। কিন্তু মানুষ টা দিলীপ ঘোষ, আর তিনি বিচারবুদ্ধি হীন ভাবে কিছু করেন না। এই রকম একটা দিনে হঠাৎ করে মর্নিং ওয়াকে ডুগডুগি হাতে কি কাউকে কোনো বার্তা দেওয়ার কৌশল ? কার উদ্দেশে ডুগডুগি বাজাচ্ছেন , জানতে চাওয়া হলে ইঙ্গিতপূর্ণ উত্তর দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যার বাজবে, সেই বুঝবে।”
মনোনয়ন পর্বে না থাকলেও নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে কিন্তু দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম এই গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তাঁর কথায়,”এর আগে তিনি (শমীক ভট্টাচার্য) এ রাজ্যে দলের জেনারেল সেক্রেটারি হয়েছিলেন। হ্যাঁ, তিনি হয়তো সভাপতি হন নি, তাই বলে কি সংগঠন করেন নি ? পার্টি মনে করেছে এতে বেশি লাভ হবে। উনি বহুদিন ধরে দলের মুখপাত্র, উনি দলের বক্তব্য খুব যুক্তিপূর্ণ ভাবে তুলে ধরতে পারেন। আমিও তো কোনোদিন রাজনীতি করি নি। আমাকে নিয়ে এসে প্রথমে জেনারেল সেক্রেটারি করা হলো, তারপর বিধায়ক, রাজ্য সভাপতি, সাংসদ করা হয়েছে। পার্টি যখন যাকে মনে করবে তাকে দায়িত্ব দেবে। আমি মনে করি শমীক ভট্টাচার্যের মতো নেতা, তিনি সব কাজ করতে পারবেন। তাঁর সব কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। শমীক ভট্টাচার্য হলেন আমাদের টিমের ক্যাপ্টেন।” এখন দেখার ক্যাপ্টেন ও দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ২০২৬ এ এরাজ্যে ঠিক কত রান তুলতে পারে।