শুরু হল জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রোর কাজ। দুটি টিবিএম মেশিন দিয়ে সুড়ঙ্গ খোড়াঁর কাজ করা হবে।পার্পল লাইনের খিদিরপুর থেকে ভিক্টোরিয়া এবং তারপর ভিক্টোরিয়া থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত অংশে আপ ও ডাউন লাইনের দু’টো সুড়ঙ্গ কাটতে এই টিবিএম দু’টি ব্যবহার করা হবে।
নাজিয়া রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- কেটেছে জমি জটিলতা। মিলেছে সেনার থেকে নো-অবজেকশন। অর্থাৎ বাধা কাটতেই শুরু হল পার্পল লাইনে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ। বৃহস্পতিবার খিদিরপুরে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৭ মিটার নীচে টানেল বোরিং মেশিন দিয়ে সুড়ঙ্গ খননের কাজ শুরু হল । কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডির উপস্থিতিতে কাজ শুরু করল ‘রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড’। এদিন খিদিরপুরে সেন্ট টমাস স্কুলের মাঠের পাশে দুটি বোরিং মেশিন আনা হয়। দুটি টানেল বোরিং মেশিনের নাম ‘দুর্গা’ এবং ‘দিব্যা’। দুটি টানেল বোরিং মেশিন দুদিক থেকে সুরঙ্গ খোঁড়ার কাজ করবে।
আপ লাইনে অর্থাৎ পার্ক স্ট্রিটমুখী লাইনে সুড়ঙ্গ খনন করবে ‘দুর্গা’, আর ডাউন লাইনে অর্থাৎ জোকামুখী লাইনে সুড়ঙ্গ খনন করবে ‘দিব্যা’।
প্রসঙ্গত, তামিলনাডু থেকে ট্রাকে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে মার্চে কলকাতায় আনা হয় দু’টো টিবিএম। এই টানেল বোরিং মেশিন দুটি ৯০ মিটার দীর্ঘ এবং ৬৫০ টন ওজনের। এমন বিশাল টিবিএম শুধু কলকাতা নয়, গোটা দেশের কাছেই এক রকম বিস্ময়। খিদিরপুর শ্যাফট থেকে নামানো হয়েছে সেই মেশিন দুটি। কলকাতা মেট্রোর পার্পল লাইন নির্মাণের ভারপ্রাপ্ত সংস্থা রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড-এর (আরভিএনএল) প্রযুক্তিবিদরা জানিয়েছেন যে, এই পার্পেল লাইনের জোকা থেকে মোমিনপুর পর্যন্ত অংশটি এলিভেটেড। তবে মোমিনপুর স্টেশন ছাড়ার কিছুটা পরে ওই লাইন মাটির নিচে ঢুকবে। অর্থাৎ খিদিরপুর স্টেশন থেকে বাকি অংশ পাতাল পথে যাবে। খিদিরপুর থেকে প্রথম ধাপে ১.৭ কিলোমিটার সুড়ঙ্গ কেটে ভিক্টোরিয়া পর্যন্ত পৌঁছনো যাবে। তারপর ভিক্টোরিয়া থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ৯৫০ মিটার দীর্ঘ একটি সুড়ঙ্গ কাটা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে এই লাইনের পরের অংশ, অর্থাৎ পার্ক স্ট্রিট থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত অংশের সুড়ঙ্গটি অবশ্য এই টিবিএম-এর সাহায্যে কাটা হবে না। সেটা কাটা হবে পুরনো ‘কাট অ্যান্ড কভার’ পদ্ধতিতে বলেই জানিয়েছেন।
জোকা থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রোরেলের এই পরিষেবা দ্রুত চালু হলে নিত্য যাত্রীদের অনেকটাই সুবিধে হবে। যদিও বর্তমানে পার্পল লাইনে জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত বাণিজ্যিক পরিষেবা চালু আছে। জানা গেছে আপাতত মোট চারটি স্টেশন ভূগর্ভস্থ হবে জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরে । এই মেট্রো পরিষেবা চালু হলে জোকা থেকে নিমেষেই এসপ্ল্যানেড পৌঁছানো যাবে, তাতে কিছুটা স্বস্তি মিলবে ওই এলাকার বাসিন্দাদের।