আজ জাতীয় ডাক্তার দিবস। ডাক্তাররা আমাদের সমাজের অন্যতম স্তম্ভ। যারা তাঁদের সেবা দিয়ে বাচিয়ে তোলেন মুমুর্ষ রোগীর প্রাণ। নানা রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে এই ডাক্তাররাই ভগবান হয়ে ওঠেন। দুরারোগ্য ব্যাধি মুক্তির জন্য তাঁরাই তো সকলের ভরসা। আর এই মহান ব্রতী ডাক্তারদের সন্মান জানানোর জন্যই ১ জুলাই পালিত হয় ডাক্তার দিবস হিসাবে।
মৌসুমী সাহা, সাংবাদিক- ১৮৮২ সালের ১ জুলাই ডক্টর বিধান চন্দ্র রায়ের জন্ম হয়। তিনি শুধু মাত্র একজন ডাক্তার ছিলেন তাই নয় , ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী। মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি আর তাই তার জন্মদিনকেই ১৯৯১ সাল থেকে ভারত সরকারের নির্জাদেশে জাতীয় ডাক্তার দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
ডাক্তাররা বর্তমানে কি খুব ভালো আছেন আজকের দিনে সেটা জানাটা বড্ড বেশী প্রাসঙ্গিক। কোন ডাক্তারের চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফেরা রোগীর বা তার পরিবারের কাছে তিনিই ভগবান। আর যদি রোগী ভালো না হন তবে ডাক্তারের কপালে জোটে বদনাম। এমনকি কখনো কখনো প্রহার ও করেন রোগী পরিবার পরিজন।ডাক্তাররা ঘন্টার পর ঘন্টা পরিশ্রম করেন, রোগীর জন্য পরিবার পরিজনকে পর্যন্ত সময় দিতে পারেন না। দেখা গেছে তারা মানসিক ভাবে ক্লান্ত বোধ করেন। এমনকি ডিউটি টাইমের পর হোয়াটসআ্যাপ,মোবাইল এ এমনকি ডিজিটাল মিডিয়ামে রোগী পরিবারের সাথে যোগাযোগের কারণে আরো মানসিক চাপ তৈরী করে।
নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিত তাঁরা। তাঁরাও যে দিনশেষে একজন রক্তমাংসের মানুষ সেটা বোধহয় সবাই ভুলে যান। তাঁরা চেষ্টা করতে পারেন তবে সবটুকু যে তাঁদের হাতে নেই । হেনস্তা নয় বরং সহযোগীতাই একটা ভালো সমাজ গড়ার সঠিক রাস্তা।