চাকরিহারা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পুলিশের ‘অতিসক্রিয়তা’, নোটিস চ্যালেঞ্জ করে মামলা করুন, পরামর্শ বিচারপতির।
ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক- বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনে অংশ নেওয়া ২০১৬ সালের চাকরিহারা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পুলিশের ‘অতিরিক্ত সক্রিয়তা’-র অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে আবেদন। সেই আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়ে দেন, একক মামলার ভিত্তিতে অন্যদের কথা আদালত শুনতে পারে না। সাফ ভাষায় বলেন, “যাঁরা যাঁরা পুলিশের নোটিস পেয়েছেন, তাঁরা চাইলে পৃথকভাবে বা যৌথ ভাবে মামলা করতে পারেন। আইনি পথে এগিয়ে আসুন। ১০০ জনও যদি একসঙ্গে আবেদন করেন, আমি শুনব। কিন্তু এক জনের মামলায় অন্যেরা যুক্ত হতে পারবেন না।”
আবেদনকারী শিক্ষক চিন্ময় মণ্ডল ও সঙ্গীতা সাহার অভিযোগ, “আদালতে মামলা করার পরও পুলিশ একের পর এক, প্রায় ৮-৯টি নোটিস পাঠাচ্ছে। এমন সময়ে থানায় যেতে বলা হচ্ছে, যা বাস্তবসম্মত নয়। কখনও বাড়িতে, কখনও স্কুলে বাচ্চাদের সামনেই নোটিস ধরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। আমরা কোনও অপরাধ করিনি, শুধুমাত্র আমাদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলাম।”
আবেদনকারীদের আইনজীবী জানান, “আমরা চাই এফআইআর বাতিল হোক।”
এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, “আপনারা কেউ চাইলে নিজ নিজ মামলায় নিজেই সওয়াল করতে পারেন, নয়তো একজোট হয়ে একজন আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন। তবে অন্যের মামলায় নিজে যুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই।”
এদিন মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার অভিযোগ করেন, “আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বোর্ড এই শিক্ষকদের শো-কজ নোটিস পাঠিয়ে যাচ্ছে।” তার জবাবে বিচারপতি জানান, “আমার নির্দেশ অমান্য করে বোর্ড যদি এই কাজ করে, তা হলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।”
এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগস্টে।