৯ দিন ধরে মাসির বাড়ির আদর খাওয়ার পালা শেষে এবার ঘরে ফেরার পালা। শনিবার উল্টোরথে ময়দানে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে তোড়জোড়। সকাল থেকেই ভক্তদের ভিড় জমল ময়দানে।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ সমস্ত নিয়ম মেনে দুপুর একটা নাগাদ রথে উঠলেন জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা। যেভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে আনা হয়েছিল তিন ভাইবোনকে সেইভাবেই বাড়ি পাঠানো হচ্ছে তাঁদের। আর সেই উল্টোরথের রশি টানতে বহু দূরদূরান্ত থেকে ভিড় জমালেন ভক্তরা।
প্রতি বছরেই ইসকনের এই রথ আসে ময়দানে। ৯ দিন ধরে চলে উৎসব। শনিবার সকালেই মহাপ্রভুর আরতি ও ভোগ অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এইদিনের অনুষ্ঠান। দুপুরে মধ্যাহ্নের অন্নভোগের আয়োজনও হয়েছে। আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে দুপুর একটা নাগাদ জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা মাসির বাড়ি থেকে রথে চড়লেও সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল রথে দেবতাদের সাজানোর কাজ। চলবে তিনটি আরতির অনুষ্ঠান।
এই দিন ময়দান থেকে শুরু করে শোভাযাত্রা যায় জহরলাল নেহরু রোড, ডোরিনা ক্রসিং ও এস এন ব্যানার্জী রোড ধরে। এরপর পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট হয়ে যাবে শেক্সপিয়ার সরণি ধরে হাঙ্গারফোর্ড রোডে। এই সময়ে পার্ক স্ট্রিট, শেক্সপিয়ার সরণি ও এস এন ব্যানার্জী রোডে যানজটের সম্ভাবনা প্রবল থাকে বরাবরই। এই বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাই কলকাতা পুলিশ শহরবাসীদের আগাম অনুরোধ করেছিল, যারা জরুরি প্রয়োজনে বেরোবেন, তারা যেন বিকল্প রুট ব্যবহার করেন। যেকোনও পরিস্থিতিতে গুগল ম্যাপ ও কলকাতা পুলিশের অফিশিয়াল ট্রাফিক আপডেট দেখে তবেই রাস্তায় নামার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
কলকাতার পাশাপাশি উৎসব পালিত হচ্ছে সৈকত শহর দিঘাতেও। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, মূল রথের মতোই বাঁশের ব্যারিকেডের মধ্য থেকে রথের রশি স্পর্শ করতে পারবেন ভক্তরা। গোটা রথযাত্রায় নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকবে প্রায় দেড় হাজার পুলিশ। এছাড়াও থাকবে ড্রোন এবং সিসি ক্যামেরা। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তরফ থেকে ইতিমধ্যে বেশ কিছু ক্যাম্প করে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্টোরথের দিনও মাসির বাড়ি কমিটির তরফ থেকে ১০ হাজার মানুষকে অন্নপ্রসাদ বিতরণ করা হবে। ইতিমধ্যে সৈকত শহরে উল্টোরথে লক্ষাধিক মানুষের সমাগমের অনুমান করে সকলের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।