সিএসটিসি কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে বিস্তর গলদ। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট।
ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক- সিএসটিসি-র প্রভিডেন্ট ফান্ড বকেয়া নিয়ে বিস্ফোরক পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। বৃহস্পতিবার হাজিরা দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক তথা সিএসটিসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান মদন মিত্র। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের অর্থসচিব প্রভাত মিশ্র এবং সিএসটিসি-র বর্তমান ম্যানেজিং ডিরেক্টর।
প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রভিডেন্ট ফান্ড এখনও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের হাতে না পৌঁছনোয় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অরিন্দম মুখার্জি। কড়া বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “ইগো থেকে ডাকিনি না। তিন-চারবার সুযোগ দিয়েছি। এবার ডেকেছি।” সরাসরি প্রশ্ন উঠে এল— কার গাফিলতিতে এই বকেয়া?
বিচারপতির মন্তব্য, “এই টাকা মাসে মাসে বেতনের সঙ্গে কেটে রাখা হত ভবিষ্যতের জন্য। কেউ মেয়ের বিয়ের জন্য, কেউ স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ওই টাকার ওপর নির্ভর করে ছিলেন। অথচ এখনও ১৫০ জন আবেদনকারীর প্রভিডেন্ট ফান্ড বাকি।”
মদন মিত্র এবং আরও কয়েকজন অফিসারের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছে আদালত। পাশাপাশি, বিচারপতির সাফ নির্দেশ— পরবর্তী চার মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে রাজ্যের পরিবহণ দফতর এবং অর্থ দফতরকে। অর্থসচিবের ব্যাখ্যা, “আমরা টাকা ট্রান্সপোর্ট দফতরকে দিয়েছি। তারাই ট্রাস্টে পাঠাবে। ইতিমধ্যেই ১৭ জন কর্মী টাকা পেয়েছেন। বাকিদের বিষয়ে পরিবহণ দফতরকে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।”
বিচারপতির মন্তব্য, “আপনি যদি একটি যৌথ পরিবারে কর্তাভূমিকা পালন করেন, তাহলে জবাবদিহি তো আপনারই।” ট্রান্সপোর্ট দফতরের বিরুদ্ধে চিঠি লিখেও কোনও উত্তর না পাওয়ার অভিযোগ তুলে অর্থসচিব জানান, “আমরা ৪৫টি দফতর দেখি। কিন্তু এই বিষয়ে ট্রান্সপোর্ট সচিব কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।”
হাইকোর্টের বার্তা স্পষ্ট— অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা যেন তাঁদের প্রাপ্য থেকে কোনওভাবেই বঞ্চিত না হন।