লাগাতার বৃষ্টি আর ভূমিধসে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হিমাচল। গত কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি চলছে, তার সঙ্গে দফায় দফায় ধসের জেরে মৃত বেড়ে ৬৩। নিখোঁজ বহু। ক্রমশই ভয়াবহ হচ্ছে পরিস্থিতি।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃন হিমাচলের এই পরিস্থিতি থেকে এখনই মুক্তি নেই বলে পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। সমস্ত জেলায় আগামী সোমবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছে ৬৩ জনের। অনেকের কোনও হদিশই মিলছে না।
গত ২০ জুন থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির জেরে এই মুহূর্তে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তরের পাহাড়ি এই রাজ্যে। ধস এবং হড়পা বানে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজের সংখ্যা কার্যত অগণিত। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধার কাজ। সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত জনজীবন। যেহেতু এখনও বৃষ্টি চলবে ফলে হিমাচল প্রদেশে বিপদ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জানা গেছে যে এখনও অবধি ২০৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ২২টি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৮৪টি দোকানের। ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা। সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে সরকারি পরিকাঠামোয়। ক্ষতির মোট পরিমাণ প্রায় ২৮৩ কোটি ৩৯ লক্ষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দফতরগুলি হল—পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট, জল শক্তি বিভাগ এবং বিদ্যুৎ বিভাগ।
এই দুর্যোগে হিমাচলের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা মান্ডী। আর এই জেলার মধ্যে আবার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত থুনাগ এবং বগসায়েড় এলাকা। হড়পা বান আর ধসে তছনছ হয়ে গিয়েছে এই জেলারই কারসগ এবং ধরমপুর। মঙ্গলবার মান্ডি জেলায় মোট দশ জায়গায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে তিন জায়গায় হড়পা বান ও এক জায়গায় ধস নেমেছিল। এর ফলে জেলার ১৫০টিরও বেশি বাড়িঘর, ১০৪টি গবাদি পশুর খোঁয়াড়, ৩১টি যানবাহন, ১৪টি সেতু এবং অসংখ্য রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। ১৬২টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। জেলায় পাঁচটি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।
মান্ডী যখন কার্যত বিপর্যস্ত তখন কিন্তু খোঁজ মিলছে না বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াতের। তিনি হিমাচল বা মান্ডি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন যদিও বাদবাকি বিভিন্ন বিষয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে পোস্ট করতে দেখা যাচ্ছে। কঙ্গনাকে আক্রমণ করার এই সুযোগ ছাড়েনি কংগ্রেস, কংগ্রেস বলেছে মান্ডির মানুষের জন্য চিন্তিত নন সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত।