বিদেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে দীর্ঘ সফরে যাচ্ছেন তিনি। বুধবার ঘানার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সফর থেকে ঠিক কি বার্তা দেন তিনি? সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক- ২ জুলাই থেকে ৯ জুলাই এই দীর্ঘ সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই তোড়জোড় চলছে। প্রধানমন্ত্রী ২-৯ জুলাইয়ের মধ্যে ঘানা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এবং নামিবিয়া সফর করবেন। জানা গেছে যে, ব্রাজিলে থাকাকালীন তিনি ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনেও অংশগ্রহণ করবেন।
৩ তারিখ অবধি ঘানায় থাকবেন তিনি। এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ঘানা সফর। তিন দশক পর এই প্রথম ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী ঘানা সফরে যাচ্ছেন। সফরকালে ঘানার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন এবং আর্থিক, বিদ্যুৎ, প্রতিরক্ষা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করবেন। এরপরে তিনি যাবেন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে। প্রধানমন্ত্রী ৩-৪ জুলাই ত্রিনিদাদ সফর করবেন বলে জানা গিয়েছে। ১৯৯৯ সালের পর এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সফরে যাচ্ছেন। এই সফরকালে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার লক্ষ্যে সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মোদী বৈঠক করবেন এমনকি সংসদের যৌথ অধিবেশনেও প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিতে পারেন। এরপর ৪-৫ জুলাই আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলেইয়ের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী সেদেশ সফর করবেন। প্রেসিডেন্ট মিলেইয়ের সঙ্গে তিনি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে প্রতিরক্ষা, কৃষি, খনি, তেল ও গ্যাস, অচিরাচরিত শক্তি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হবে। ৪ ও ৫ জুলাই সফর শেষ করে চতুর্থ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর গন্তব্য হবে ব্রাজিল। সে দেশের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভার আমন্ত্রণে সাড়া দিচ্ছেন মোদী। এটা হবে মোদীর চতুর্থ ব্রাজিল সফর। ৯ জুলাই মোদী যাবেন নামিবিয়া।
জানা গেছে যে, , মূলত দু’টি লক্ষ্য মাথায় রেখেই এই পঞ্চদেশীয় সফরে যাচ্ছেন মোদী। একটি কারণ হল সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বাকি দেশগুলিকে একজোট করে সম্মিলিত বার্তা দেওয়া, পহেলগাঁও কাণ্ডের পরই পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জানাতে বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল ভারত। এ বার এই বিষয়টি ব্রিকস সম্মেলনেও তুলতে চাইছে নয়াদিল্লি। দ্বিতীয়ত, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল কিংবা নামিবিয়ার মতো দেশগুলি থেকে নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের জোগান। এই প্রসঙ্গেপহেলগাঁও কাণ্ডের পরই পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জানাতে বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল ভারত। এ বার এই বিষয়টি ব্রিকস সম্মেলনেও তুলতে চাইছে নয়াদিল্লি।
২০১৫ সালে ৯ দিনের সফরে গিয়েছিলেন মোদী। সেই তালিকায় ছিল ফিজি, অস্ট্রেলিয়া ও মায়ানমার। এমনও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে হোটেলে নয়, বিমানেই লাগেজ রেখে কর্মসূচিতে যোগ দিতে হয়েছে মোদীকে। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী একসঙ্গে পাঁচ দেশে সফর করেছিলেন। আমেরিকা, মেক্সিকো, সুইজারল্যান্ড, আফগানিস্তান ও কাতারে সে বছর ৪ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত সফর করেছিলেন।