যত সময় গড়াচ্ছে ততই কসবা ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছেন তদন্তকারী অফিসাররা। দ্রুত তদন্তের জাল গুটিয়ে এনে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে চার্জ সিট গঠন করতে চায় লালবাজার। সেই সূত্রেই শুক্র সকালে আরো একবার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে অভিযুক্তদের নিয়ে কসবা ল’কলেজে হাজির তদন্তকারীরা।
সুচারু মিত্র, সাংবাদিক- কসবা ল’কলেজের ধর্ষণের ঘটনায় টেকনিক্যাল এভিডেন্স অর্থাৎ সিসিটিভি ফুটেজের তথ্যের সঙ্গে নির্যাতিতার বয়ানের হুবহু মিল পাওয়া গিয়েছে। আর তার সঙ্গে সঙ্গে নির্যাতিতার বয়ানের সঙ্গে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের মেডিকেল রিপোর্টেরও মিল পাওয়া গিয়েছে। দিন দুয়েক আগে রাতের দিকে নির্যাতিতাকে নিয়ে কসবা ল’কলেজে এসে ঘটনার একবার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। এবার শুক্রবার কাকভোরে ৪ অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে তদন্তকারী অফিসাররা পৌঁছে গেলেন কসবার ল’ কলেজে। প্রিজন ভ্যানে চার অভিযুক্তকে নিয়ে আসা হয় ভোর ৪ টে নাগাদ। সকাল ৮ টা পর্যন্ত চলল পুনর্নির্মাণ। ২৫ জুন ঠিক কি ভাবে ঘটনা ঘটেছিল সেটাই পুনর্নির্মাণ করা হল।
এদিন যাদের নিয়ে আসা হয় তারা হলো অভিযুক্ত মনোজিৎ, প্রমীত, জয়িব এবং ঐ কলেজের নিরাপত্তারক্ষী। এই অভিযুক্তদেরকে নিয়ে চলল ঘটনার পুনর্নির্মাণ। ইউনিয়ন রুম থেকে শুরু করে গার্ড রুম পর্যন্ত ঠিক কি ঘটনা ঘটেছিল, সেটার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়, এবং সেটা করে দেখাতে বলা হল অভিযুক্তদের। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে টেকনিক্যাল এভিডেন্স এবং নির্যাতিতার বয়ানের সঙ্গে সাজুয্য খুঁজতে চাইছে লালবাজারে তদন্তকারী আধিকারিকরা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন খুব দ্রুত চার্জ সিট গঠন করে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে চায় পুলিশ, আর সে কারণেই আদালতের নির্দেশে অত্যন্ত দ্রুতগতির সঙ্গে তদন্ত প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করছে লালবাজারের তৈরী করে দেওয়া স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। ইতিমধ্যেই তালিকায় থাকা ১৭ জনকেও আলাদা আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কসবা ল’ কলেজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।