ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকেই দফায় দফায় অশান্তি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এদিন সকালে বাম কর্মীসমর্থকদের মিছিলকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে যাদবপুরের গাঙ্গুলিবাগান। মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে অশান্তি ছড়ায় যাদবপুরের গাঙ্গুলিবাগান। সৃজন সহ কয়েকজন বাম নেতাকে আটক করা হয়।
নাজিয়া রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- বুধবার দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয় বাম ও কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন সহ ১০টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। একাধিক কেন্দ্রীয় নীতি ও পদক্ষেপের বিরোধিতা জানিয়ে দেশব্যাপী এই সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। বুধবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মঘট সমর্থনে রাস্তায় নামে। এদিন যাদবপুরের গাঙ্গুলিবাগান বাম কর্মীসমর্থকদের মিছিলকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে। পুলিশের বিরুদ্ধে মিছিল বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে বাম নেতা সহ কর্মীসমর্থকদের। এমনকি হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েম এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলে অভিযোগ।
বুধবার সকালে এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে যাদবপুর থেকে শুরু হয় ধর্মঘট সমর্থনে মিছিল। গাঙ্গুলিবাগানে মিলিছ এসে পৌছাতেই পুলিশ মিছিলে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। তখনই সৃজনের সঙ্গে শুরু হয় পুলিশের কথাকাটাকাটি। এক পর্যায়ে তা ধস্তাধস্তিতে পৌঁছয় বলে অভিযোগ । সৃজনকে ধরে টানাহেঁচড়া করা হয় বলেও অভিযোগ। আর এতে সৃজনের হাটে চোট লাগে, ছেঁড়ে জামা বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সৃজন সহ বেশ কয়েকজন বামনেতা ও কর্মীসমর্থককে আটক করে।
যাদবপুরের গাঙ্গুলিবাগানে সৃজন ও অন্যান্য বাম নেতাদের আটক করায় ক্ষুদ্ধ হন বাম ছাত্রযুবরা। ধর্মঘটের সমর্থনে ও সৃজনসহ যাদবপুরের গাঙ্গুলী বাগানে যাদের আটক করা হয়েছিল তাঁদের নিঃস্বার্থ মুক্তির দাবিতে কলকাতা ইউনিভার্সিটি সামনে থেকে মহাত্মা গান্ধী রোড পর্যন্ত একটি মিছিল হয়।সেখানেও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করে কিন্তু টায়ার জালানোর আগেই পুলিশ বাধা দেয় এবং অবরোধকারীদের প্রিজম ভ্যানে তোলার চেষ্টা করে পুলিশ। এই নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় মহাত্মাগান্ধী রোডে। কয়েকজনকে পুলিশ প্রিজম ভ্যানে তুললে, সেই প্রিজম ব্যান্ড ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এসএফআই সমর্থকেরা। বাধ্য হয় তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। এরপর ওই এসএফআই ছাত্র যুবদের পক্ষ থেকে এমজি রোড থেকে মিছিল করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসেন এবং সেখানে তাদের কর্মসূচি শেষ করেন।