আপনি কি শনিদেবের রোষে পড়েছেন ? উদ্ধার পেতে চাইছেন শনির রোষ থেকে ? কী করবেন, ভেবে কুল-কিনারা পাচ্ছেন না ? আপনার জন্যই এই প্রতিবেদনটি।
প্রবীর মুখার্জী, সাংবাদিক- ন্যায়ের দেবতা হিসেবেই আমার শনিদেবকে দেখে থাকি। শনিবার দিনটিকেই আমরা বেছে নিই তাঁর আরাধনার জন্য। প্রত্যেকের জীবনেই একবার না একবার শনির প্রভাব আসেই। কারণ শনিদেব প্রতিটি রাশিটিতে আড়াই বছর করে অবস্থান করেন। অর্থাৎ ৩০ বছর পর ফের একবার সেই রাশিতেই অবস্থান করবেন শনিমহারাজ। শনি হলেন ন্যায়ের দেবতা। একটু এদিক ওদিক করলেই শনির রোষে পড়তে পারেন আপনিও। শনির সাড়ে সাতি বা ধাইয়া যাদের চলছে, তারা তো অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন। এখন প্রশ্ন হলো কীভাবে তুষ্ট করবেন শনিদেবকে?
শনিদেবকে তুষ্ট করতে হলে প্রয়োজন একটু কালো তিল, সরষের তেল একটি প্রদীপ আর নির্ভেজাল ভক্তি। হ্যাঁ, নির্ভেজাল ভক্তিই বটে। শনিবার সন্ধ্যায় স্নান সেরে পরিষ্কার জামা-কাপড় পড়ে বাড়িতে অথবা কোনও শনি মন্দিরে যান। ঘটি ভর্তি গঙ্গার জলে একটি তিল ফেলে তা অর্পন করুন শনিদেবের নামে। এই কাজটা আপনি যে কোনও অশ্বথ্ব গাছের নীচেও করতে পারেন। কারণ শনিদেবের অত্যন্ত প্রিয় অশ্বথ্ব গাছ। আর প্রিয় কালো তিল এবং সরষের তেল। এবার একটি প্রদীপ জ্বালান। মনে রাখবেন সেই প্রদীপে কিন্তু, সরষের তেলই ব্যবহার করবেন। জপ করতে পারেন ‘ঔঁ মং মন্দায় বিদ্মহে , সূর্যপুত্রায় ধীমহি তন্নো মন্দো প্রচোদয়াৎ ঔঁ।’
শনিবার কোনও গরীব মানুষকে কালো তিল দান করতে পারেন। একান্তই না পেলে শনি মন্দিরেও দান করতে পারেন কালো তিল। দূর হয়ে যাবে আপনার আর্থিক সমস্যা। কিছুদিন এইভাবে পালন করলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন , আপনার আদৌ কোনও উন্নতি হচ্ছে কি না। তবে ধৈর্য ধরে এই প্রতিকার যেমন পালন করে যেতে হবে। তেমনই চাই ভক্তি ও নিষ্ঠা।