ফের উত্তপ্ত ভাঙড়। বৃহস্পতিবার রাতে গুলি করে খুন শওকত মোল্লা ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা। রাতেই ঘটনাস্থলে গেলেন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ ভাঙড়ে খুন হলেন শওকত-ঘনিষ্ঠ নেতা। গুলি করে তারপর এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাঁকে। তিনি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। তিনি বিধায়ক শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রাজ্জাক খাঁ। নিহত রজ্জাক ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়ায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। খুনের পর থমথমে ভাঙড়, রাতেই ভাঙড়ে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার।
দলীয় বৈঠক সেরে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির কাছেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন তিনি। শুক্রবার সকালেও থমথমে গোটা এলাকা। জানা গিয়েছে, দলীয় বৈঠক সেরে ভাঙড় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন রাজ্জাক খাঁ। আচমকাই বাড়ির সামনেই কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন রাজ্জাক। শুধু তাই নয়, মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁকে ধারাল অস্ত্রের কোপও মারা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় বলেও জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
দলের নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে শওকত বলেন, ‘‘আইএসএফ আশ্রিত দুস্কৃতীরা রজ্জাককে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পরে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়েছে। এই খুন নওশাদ সিদ্দিকীর মদতেই করা হয়েছে। বিকেল থেকে দুটো মিটিংয়ে উপস্থিত ছিল রাজ্জাক সেটা শেষ করে বাড়ি ফিরছিল রাজ্জাক আর তখনই এই ঘটনা। আসলে ভাঙড় এলাকায় অদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে বলে এইসব কাজ করছে। পুলিশকে বলব, অবিলম্বে এই সমাজবিরোধীদের গ্রেফতার করতে হবে ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে”।
দলের একাংশের দাবি, পরিকল্পিত ভাবেই এই হামলা করা হয়েছে আর সেই কারণেই গুলি চালানোর পরে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁকে ক্রমাগত কোপানোও হয়েছে। জনপ্রিয়তার কারণেই হামলা বলে দাবি করা হচ্ছে দলের তরফে। রাজনৈতিক কারণে হামলা কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। নেতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার পরে দলের কর্মী-সমর্থকেরা দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান। অন্যদিকে আইএসএফও সাফ জানিয়েছে, এই ঘটনায় দল কোনভাবেই জড়িত নয়। তাদের তরফে পাল্টা অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকেই।