কসবা কাণ্ডে পুলিশের তদন্ত নিয়ে আপাতত সন্তুষ্ট নির্যাতিতার পরিবার। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে তাঁরা স্পষ্ট করে জানান, বর্তমানে এসআইটি(Special Investigation Team)-র তদন্তে তাঁরা আস্থা রাখছেন। ১৬৪ ধারায় নির্যাতিতার জবানবন্দির সিলমোহর-করা কপি সহ একাধিক নথি আদালতে পেশ করেছে রাজ্য।
ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- কসবা ল’কলেজে ধর্ষণ কাণ্ডে পুলিশি তদন্তে আস্থা রাখলেও এই ঘটনা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা সংক্রান্ত এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীরা। রাজ্যের পক্ষে অ্যাডভোকেট জেনারেল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে সিল করা কভার রিপোর্ট ও হলফনামা জমা দেন।
ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি মিতা দাস দে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তদন্ত সংক্রান্ত তথ্য কেবলমাত্র নির্যাতিতার পরিবার দেখতে পারবেন। সংবাদমাধ্যম কিংবা কোনও তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে তা ভাগ করা যাবে না। আদালতের নিরাপদ হেফাজতেই থাকবে সমস্ত তথ্য। রাজ্য জানায়, তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট চার সপ্তাহ পর ফের পেশ করা হবে। আদালতের নির্দেশ, মামলার কেস ডায়েরিও খতিয়ে দেখা হয়েছে।
এ দিন জনস্বার্থ মামলাকারী আইনজীবী সৌম্য শুভ্র রায় অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের অতীতের এক পুলিশ মামলা উল্লেখ করেন। কসবা থানার ওসি সেই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিলেও, কলেজ প্রশাসন এখনও কোনও হলফনামা দেয়নি বলে জানান মামলাকারীর আইনজীবী।
জনস্বার্থ মামলায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও উঠে আসে। আইনজীবী ফিরোজ এডুজি অভিযোগ করেন, “আসামিদের কোমরে দড়ি বেঁধে পশুর মতো টানা হচ্ছে। তদন্তে একাধিক ত্রুটি রয়েছে। তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হোক।”
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকলে অভিযুক্ত নিজে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন। এর জন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন নেই।” অন্যদিকে, অভিযুক্তদের পক্ষে আইনজীবী অরিন্দম জানা জানান, “পঞ্চাশ জন আইনজীবী অভিযুক্তদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেছেন। কিন্তু কেউ মানবাধিকার প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি।”
মামলা নম্বর ১৪ ও ১৫, যার পরবর্তী শুনানি ১৭ জুলাই। তার আগেই রাজ্য, কলেজ-সহ অন্যান্য পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্টও ততদিনে আদালতে জমা পড়বে।