এসএসসি (SSC) নিজে অযোগ্য প্রার্থীদের হয়ে কীভাবে আইনি সওয়াল করতে পারে ? সরাসরি এই প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিচারপতি সৌমেন সেন। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে SSC-র ভূমিকা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, “এসএসসি তো নিয়োগকারী সংস্থা। তাহলে অযোগ্য প্রার্থীদের হয়ে তাদের আইনজীবী কীভাবে লোকাস (আইনি অবস্থান) দেখান?”
ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, নিজস্ব প্রতিনিধি- এদিন এসএসসি-র পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এসএসসি দিনের শেষে জনস্বার্থে কাজ করে। অনেক সময় নীতিগত সিদ্ধান্ত আমাদের নিতে হয়।” সেই সময় বিচারপতির ফের প্রশ্ন, “SSC রুল কোথায় বলেছে যে অযোগ্যদের হয়ে আদালতে এমন যুক্তি তুলে ধরা যায়?”
SSC আদালতে জানায়, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে নতুন করে মোট ৩৫,৭২৬ টি পদে নিয়োগ হবে। আগে ২০১৬ সালে এই একই স্তরে নিয়োগ হয়েছিল ১৮,৬১৭ জনের।
ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (AG) বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দুই ধরনের বিষয় রয়েছে—একটি টার্মিনেশন এবং অন্যটি ক্যানসেল। যাঁরা যোগ্য ছিলেন, তাঁদের নিয়োগের প্যানেল বাতিল হওয়ায় চাকরি বাতিল হয়েছে। আর যাঁরা ‘আনটেনডেড’ বা সন্দেহজনক ছিলেন, তাঁদের সরাসরি চাকরি থেকে সরানো হয়েছে।”
এসএসসি-র নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। আবেদনকারী ফিরদৌস শামিম জানান, সিঙ্গল বেঞ্চে চারটি বিষয়ে তাঁরা আবেদন জানিয়েছিলেন। একটিতে রায় এলেও, বাকি তিনটি বিষয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছেন তাঁরা।তাঁদের দাবি, নতুন রুল অনুসারে জারি হওয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি খারিজ হোক। বয়সের পার্থক্য সংক্রান্ত নিয়ম বাতিল করুক আদালত। ন্যূনতম যোগ্যতার নম্বর ও নম্বরের বিন্যাস বাতিল হোক।
সব চোখ এখন ডিভিশন বেঞ্চের দিকেই। আগামীকাল, বৃহস্পতিবার ফের শুনানি হবে এই মামলার। জল্পনা, আদালতের পর্যবেক্ষণ নিয়োগ-প্রক্রিয়া নিয়ে ভবিষ্যৎ দিশা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।