হাঁপানি ফুসফুসের একটি সাধারণ অসুখ যা বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ শিশুকে প্রভাবিত করছে এবং এর সংখ্যাটা ক্রমশই বাড়ছে । স্বভাবতই বাবা মায়েদের চিন্তার কারণ বাচ্চাদের শ্বাসকষ্ট এবং তার ফলে তৈরী হওয়া সমস্যা।
মৌসুমী সাহা, সাংবাদিক- শৈশবকালে যখন শিশুর বয়স ৫ বছর হয় তখনই প্রথম তার হাঁপানির লক্ষণগুলি প্রকট হয়। শ্বাসনালী ফুলে যাওয়া এবং তা সংকুচিত হয়ে গিয়ে শ্বাসকষ্ট, কাশির মতো সমস্যা তৈরী হয়। কখনো কখনো পরিবর্তিত হয়ে যায় লক্ষণগুলি যার ফলে হাঁপানি সনাক্ত করা অনেক সময় মুশকিল হয়ে যায়। সাধারণ লক্ষনের মধ্যে শ্বাস নেওয়ার সময় আওয়াজ হয়ে থাকে।কাশি হয় বিশেষতঃ খেলার সময়, হাসির সময়। এই কাশি রাতে বেশী দেখা যায়। এদের শ্বাস ছাড়ার সময় বুকের পাঁজরের মাঝখানটা ঢুকে যায়। ঠান্ডা লাগার প্রবণতা দেখা যায় খুব বেশি।ঘুমোবার সময় কষ্টকর পরিস্থিতির সন্মুখীন হতে হয় তাদের শ্বাসকষ্টের কারণে।
হাঁপানির প্রবনতা বাড়ার কারণ অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণ অজানা।জেনেটিক কারণে যেমন হাঁপানি হতে পারে তেমনি ইমিউন সিস্টেম খুব শক্তিশালী না হলেও বাড়তে পারে এর প্রবনতা। আ্যালার্জেন এর সংস্পর্শে বাড়তে পারে সংক্রমণ। বায়ুদূষণ যে ভাবে বাড়ছে সেটি একটি অন্যতম কারণ। ওবেসিটি ওজন বেড়ে যাবার অন্যতম কারণ। তবে দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসকষ্টের কারণে ফুসফুসের ক্ষমতা কমতে থাকে। একটি শিশু স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় পিছিয়ে পড়তে পারে ।
হাঁপানি কোন ছোয়াচে রোগ নয়, তবে হাঁপানি নির্মুল করা সম্ভব নয়। নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে শিশুরা।তার জন্য দরকার নিয়মিত চেকআপ এবং যথাযোগ্য চিকিৎসা।