অনেক তো খেলেন দুধ চা, র-চা, গ্রিন টি। তবে এসবের মাঝে কি চেখে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আপনার পার্পেল চা? কাঁচের স্বচ্ছ পেয়ালায় এই চা ঢালতেই চমকে যাবেন আপনি। হালকা বেগুনি আভা ঠিকরে পড়ে এই চায়ের কাপ থেকে। দুর থেকে দেখলে মনে হবে রামধনু থেকে এক টুকরো রঙ কেউ পুড়ে দিয়েছে পেয়ালায়। বর্তমানে সাধারণ চায়ের থেকে গ্রিন টি-র জনপ্রিয়তা বেশ বেড়েছে। সুস্থ থাকতে সবুজ পাতার চা খেতেই বেশি পছন্দ করে নব প্রজন্ম। তবে এই তালিকা থেকে পিছিয়ে নেই পার্পল চা। রয়েছে হাজারো উপকারিতা। খেয়ে দেখতে চান কেমন এই চা? না না একেবারেই ভাববেন না এই চা খেতে আপনাকে বিদেশে পাড়ি দিতে হবে। এই দেশের মাটিতে বসেই পার্পেল চায়ের সুখ নিতে পারবেন আপনি। এমনকি অনলাইনেও অর্ডার করতে পারেন এই চা পাতা। শোন যায় পৃথিবীতে ১৫০০ রকমের চা রয়েছে। আর ভারতের বেশ কয়েকটি জায়গার চা কিন্তু পৃথিবী খ্যাত। দার্জিলিং, অসম , মুন্নারে বিপুল পরিমাণ চা উৎপন্ন হয়। তবে এই বেগুনি চা বা পার্পল টি কানাডা থেকে আসে বলে শোনা যায়। কিন্তু ২০১৫ সালে ‘টি রিসার্চ ইন্সটিটিউট’ একটি গবেষণায় দেখেন, অসমেই পাওয়া যায় এই বেগুনি চা। ১০ হাজার চা পাতা দিয়ে তৈরি হয় এক কেজি পার্পল টি। এই চা-এর রঙ অনবদ্য। যেন ফুলের গাঢ় রঙের সঙ্গে মিলে যায় এটি। এই চায়ের রঙেই মজে যান অনেকে। তবে রয়েছে স্বাস্থ্যগুণ। প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাবেন এই পার্পেল টি-তে। কিন্তু এই চা কিনতে গেলে পকেটের রেস্তোও হওয়া চাই জবরদস্ত। সম্প্রতি দুগার কসমেটিক প্রোডাক্ট নামে এক সংস্থার কাছে ২৪,৫০১ টাকা কেজি প্রতি দরে এই চা বিক্রি হয়েছে। ওই সংস্থাই এই চা-কে দেশের দুটি জায়গায় পাঠাবে। শোনা গিয়েছে, কিছুটা যাবে আমেদাবাদের টি বুটিকে। আর বাকিটা যাবে ভাইব্রান্ট গুজরাত ২০১৯ সামিটে। সেখানে অতিথিদের এই চা পরিবেশন করা হবে। তাহলে ভারতের মাটিতেই যখন রয়েছে এই চায়ের সন্ধান একবার তো চেখে দেখাই যায়।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.