Date : 2024-04-30

বিজেপির লালবাজার অভিযানে রণক্ষেত্র সেন্ট্রাল এভিনিউ, চলল জল কামান, কাঁদানে গ্যাস

কলকাতা: সন্দেশখালিতে দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগে বুধবার বেলা ১টা থেকে লালবাজার অভিযানের ডাক দেয় রাজ্য বিজেপি। কর্মসূচী অনুসারে রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে বিজেপির মিছিল হিন্দ সিনেমার সামনে দিয়ে ক্রমশ লালবাজারের দিকে এগোতে শুরু করে।

এদিকে অশান্তি এড়াতে পুলিশের তরফ থেকেও ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এদিন বেলা ১১টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট। বেলা বাড়তেই মিছিল শুরু হয়। শহরে জোড়া মিছিলের জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ মানুষ। লালবাজার অভিযানের জন্য শিয়ালদহ, হাওড়়া ও সেন্ট্রাল এভিনিউ থেকে মিছিল একে একে মিছিল এগোতে শুরু করে। এদিন মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সহ বিজেপির ১৮ জন জয়ী সাংসদ।

এদিকে পুলিশের তরফেও রাস্তায় ছিলেন এডিসিপি, সিপি পদমর্যাদার অফিসাররা। নিরাপত্তার জন্য ছিল কুইক রেসপন্স টিম ও হেভিরেডিং ফ্লাইং স্কোয়ার্ড। ফিয়ার্স লেনের কাছে রাখা হয়েছিল বাড়তি নিরাপত্তা। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল সেন্ট্রাল এভনিউতে পৌঁছনো মাত্রই বাধা দিতে শুরু করে পুলিশ। গোটা সেন্ট্রাল এভিনিউ নিমেশে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।

ভেঙে ফেলার চেষ্টা হয় পুলিশি ব্যরিকেট। মিছিলের পুরভাগে মহিলা বিজেপি কর্মীরা থাকায় এদিন মহিলা পুলিশের সংখ্যাও ছিল প্রচুর। পুলিশের ব্যরিকেটের মধ্যে থেকে বেশ কয়েকজন মহিলা বিজেপি কর্মী লালবাজারের দিকে এগোনোর চেষ্টা করে। যদিও তাদের আটক করে পুলিশ। ফিয়ার্স লেনের মুখে মিছিল পৌঁছোতেই পুলিশের তরফ থেকে বিজেপি সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে ছোঁড়া হয় জলকামান, ফাটানো হয় টিয়ার গ্যাসের সেল। এরফলে সামযিক ভাবে ছত্রভঙ্গ হয়ে পরেন বিজেপি কর্মীরা।

বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটানোয় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি সমর্থকরা মিছিল থেকে কাঁধে করেই হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নিয়ে যান। পুলিশ অসুস্থদের কোনরকম সাহায্য করেনি বলে বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়। এরপরেই আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এদিন তিনি অভিযোগ করেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করেই তারা লালবাজারে ডেপুটেশন জমা দিতে যেতেন। কিন্তু মিছিল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ তাদের প্রতিহত করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে দিচ্ছেন না মমতা। পুলিশ দিয়ে বিজেপিকে আটকানো যাবে না।”

সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এদিন বিজেপি নেতা রাহুল সিংহা বলেন, “এই আন্দোলনে বিজেপি জিতেছে, তৃণমূল হেরেছে। এদিন বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করার পর তাদের মুক্ত করে দেয় পুলিশ”।