ওয়েব ডেস্ক: টানা বর্ষণের জেরে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা। দার্জিলিং, সিকিমের বেশ কিছু অংশে ধস নেমেছে। এর জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে শিলিগুড়ি-সিকিম সড়ক পথে। এর জেরে প্রায় শতাধিক গাড়ি আটকে আছে পড়েছে শিলিগুড়ি জাতীয় সড়কে। ডুয়ার্সের রেল লাইনে ধস নামায় বন্ধ রয়েছে রেল যোগাযোগ। যদিও ইতিমধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ধস সরানোর কাজ চলছে।
প্রবল বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর জল বাড়তে থাকায় জারি হয়েছে সতর্কতা। সেচ দফতর সূত্রের খবর, তিস্তার জল বাড়তে থাকায় বাঁধ থেকে ২৩২২.২৪ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। তিস্তা এলাকা জুড়ে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। লাগাতার বৃষ্টির জেরে সেবক কালীবাড়ি সহ একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে।১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ও ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বুধবার সেবকের কাছে তিস্তায় পর্যটক সহ একটি গাড়ি পড়ে যায়।
বিকেলেই উদ্ধারে নামে এনডিআরএফ এর একটি দল। কিন্তু প্রবল স্রোতে বাধা পায় উদ্ধার কাজ। একটি পর্যটন সংস্থার ওই গাড়িতে দুজন ছিলেন বলে জানা গেছে। আজ সকালে ফের তল্লাশি চালানোর চেষ্টা হয়, তবে ধসের কারণে আটকে যায় এনডিআরএফ-এর গাড়ি। দার্জিলিং ছাড়াও আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া কালজানি, ডিমা ও নোনাই নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে আগামী ৪৮ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে আলিপুর দুয়ারে। উত্তরবঙ্গের ৪ জেলায় বন্যা পরিস্থিত সমলাতে কোমর বেঁধে নেমেছে সেচ দফতর। তবে বৃষ্টি না থামলে ধস সরিয়ে রাস্তা পরিস্কারের কাজ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে প্রশাসন।