Date : 2024-05-01

ঝুলিতে আইআইটির এম.টেক ডিগ্রি, কাজ করেন রেলের ট্র্যাকম্যানের!…

ওয়েব ডেস্ক: কথায় আছে, “কোন কাজই ছোট নয়।” শুধুমাত্র কথায় নয় কাজেও এবার সেটাই প্রমাণ করে দিলেন বিহারের বাসিন্দা শ্রবণ কুমার। দেশের বেকার সমস্যা বাস্তব ছবিটা দিন দিন কতটা ভয়ানক হচ্ছে তা আরও একবার প্রকাশ্যে এলো। ফাইলে পড়ে আছে বম্বে আইআইটির ডিগ্রি, অথচ চাকরি জুটেছে রেলের লোয়ার ডিভিশন ক্লার্কের। আইআইটির ডিগ্রি পাওয়ার পর বিভিন্ন উচ্চপদস্থ সরকারি চাকুরির চেষ্টা করেন তিনি। কোন কিছুই না জোটায় শেষে বাধ্য হয়েই রেলের গ্রুপ-ডি-র চাকরিতেই যোগ দেন বিহারের বাসিন্দা শ্রবণ কুমার। ২০১০ সালে বম্বে আইআইটিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথমে এম.টেক পরে বি.টেক ডিগ্রি প্রাপ্ত হয় শ্রবণ কুমার। পড়াশুনো শেষ করেই সরকারি চাকরির চেষ্টা করেন তিনি। বছরের পর বছর ঘুরে গেলেও জোটেনি চাকরি।

অবশেষে চন্দ্রপুরে রেলের লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক হিসাবে ট্রাকম্যানের চাকরি পান তিনি। চন্দ্রপুর ও টেলো স্টেশনের মাঝে রেল লাইনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজও করেন তিনি। শ্রবনের মতো উচ্চশিক্ষিত এক যুবক এভাবেই দিনের পর দিন রেলের লোয়ার ডিভিশন ক্লার্কের চাকরি করে যাওয়ায় অবাক হয়ে যাচ্ছেন রেলের ধানবাদ ডিভিশনের আধিকারিকরাও। অবাক করার মতো বিষয়, উচ্চশিক্ষিত হয়েও ঐ পোস্টেই চাকরি করে যাচ্ছেন তিনি। কাজের প্রতি রয়েছে যথেষ্ট ভালোবাসাও। অনেকেরই বক্তব্য, দেশে বেকার সমস্যা দিন দিন এতই প্রবল হয়ে উঠছে যে শ্রবণের মতো উচ্চ শিক্ষিত ছেলেদেরও চাকরির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

শ্রবণ এই মুহুর্তে যে পোস্টে চাকরি করছেন সেই পোস্ট চাকরির জন্য নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা দশম শ্রেনী পাশ। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশুনো শেষ করেও তার যোগ্যতা অনুসারে মেলেনি চাকরির পদমর্যাদা। শ্রবনের বন্ধুদের অনেকেই বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ কর্মী। বেসরকারি চাকরিতে শ্রবনের ভরসা ছিল না তাই সরকারি চাকরির প্রচেষ্টাই করতেন তিনি। এখনও তিনি বিশ্বাস করেন আগামী দিনে রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক হয়ে উঠবেন। সেই আশাতেই চন্দ্রপুরের ট্র্যাকম্যানের চাকরিকেই আপন করে নিয়েছেন।