ওয়েব ডেস্ক : ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েশা রানির বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে বারবার। এবার মুখ্যমন্ত্রীকে ভুল তথ্য দেওয়ারও অভিযোগ উঠল জেলাশাসকের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশজুড়ে চলছে আনলক পর্ব। ব্যতিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গও। ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে জেলায় জেলায় বাংলা সহায়তা কেন্দ্র খোলার নির্দেশ দিয়েছিল পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মসংস্থানমুখী নতুন এই প্রকল্পে জেলাশাসকের দফতর, বিডিও অফিস, জেলা পরিষদে যুবক-যুবতীদের চাকরির ব্যবস্থা হবে। মোট ২৭৪৪টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের প্রতিটিতে ২ জনকে নিয়োগ করা হবে। অ্রর্থাৎ ৫ হাজারের বেশি নিয়োগ হবে। জেলার সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্তা হিসেবে এই প্রকল্পের রূপায়নের বিষয়টি দেখার কথা জেলাশাসকদেরই। ঝাড়গ্রাম জেলায় সেই প্রকল্প চালু হয়েছে কিনা গত মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সে তার খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাশাসক জানান, ঝাড়গ্রাম জেলায় সব সহায়তা কেন্দ্র চালু হয়ে গিয়েছে। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে থাকে। বিশেষত ঝাড়গ্রাম জেলায় সাধারণ মানুষ থেকে অনেকেই সরব হন। জেলায় কোথাও কোনও বাংলা সহায়তা কেন্দ্র গড়ে উঠেনি বলে অনেকেই জানান। এর মধ্যে রয়েছেন সাধারণ মানুষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা। দহিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, বিনপুর ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা বিষয়টি নিয়ে সরব হন। জেলাশাসক মুখ্যমন্ত্রীকে ভুল তথ্য দিয়ে ঝাড়গ্রামবাসীকে বঞ্চিত করছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন জেলার বাসিন্দারা। অভিযোগ উঠেছে, বাংলা সহায়তা কেন্দ্র নিয়ে ডিএম অফিসে একটি ব্যানার ছাড়া প্রায় কিছুই নেই।অবশ্য যাঁকে নিয়ে এত বিতর্ক সেই জেলাশাসক আয়েশা রানির এব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.