এ যেন একে একে পদ্মের পাপড়ি মেলা। প্রথমে ছেড়েছিলেন মন্ত্রিত্ব। এরপর হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতির পদ। বুধবার বিধানসভায় গিয়ে জমা দিয়েছিলেন বিধায়ক পদ ছাড়ার ইস্তফাপত্র। বাকি যে টুকু ছিল বৃহস্পতিবার তাও চুকিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে দলীয় সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিলেন তিনি। সেইসঙ্গে ছাড়ার কথা জানিয়েছেন দলীয় সব সাংগঠনিক পদ। সবমিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নামে যে দলের সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের দু-দশকের সম্পর্ক তার দ্য এন্ড ঘটিয়ে দিলেন অধিকারী পরিবারের মেজ ছেলে। তবে প্রাক্তন বলার সময় এখনও খাতায়কলমে আসেনি। বিধায়ক পদে তাঁর ইস্তফাপত্র খতিয়ে দেখে বৃহস্পতিবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিষয়টি আপাতত তাঁর বিবেচনাধীন। ইস্তফাপত্র গ্রহণ করছেন বা প্রত্যাখ্যান করছেন, কোনওটিই তিনি বলতে চান না। পরে এই প্রশ্নে বিবেচনাপ্রসূত নির্দেশ দেবেন তিনি। দলনেত্রীকে পাঠানো ইস্তফাপত্রও গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত শেষ কথা বলা যায় না।তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে গিয়েছে। এরপর যে টুকু পড়ে রইল তা নেহাতই আনুষ্ঠানিকতা। প্রশ্ন হল শুভেন্দুর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে চলেছে। শুক্রবার বা শনিবারের মধ্যে কোনও একদিন তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন আপাতত এমন কথাই বেশি বেশি শোনা যাচ্ছে তাঁর ঘনিষ্ট মহল সূত্রে। শুভেন্দুর অবশ্য মুখে কুলুপ। বৃহস্পতিবার তমলুকের নিমতৌড়িতে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। অরাজনৈতিক সভায় খুব বেশিক্ষণ কথা বলতে দেখা যায়নি শুভেন্দুকে। তবে এরই মধ্যে দু-একটি মন্তব্যের অভিমুখ রাজনৈতিক ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।