কলকাতা ময়দানে ফুটবলারদের দলবদল একসময় আলোড়ন ফেলে দিত। বঙ্গ রাজনীতির দলবদলও বেশ ঘটা করেই হয়। কিন্তু রাজনীতির জন্য পারিবারিক (স্বামী-স্ত্রী) দলবদলের উদাহরণ প্রায় নেই বললেই চলে। তেমনই বেনজির কাণ্ড ঘটে গিয়েছে সোমবার। রাতারাতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। এরপর স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর এবং স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর রাজনৈতিক বাগযুদ্ধের সাক্ষী হয় গোটা বাংলা। সৌমিত্র খাঁ জানিয়ে দেন, একজন সুজাতার ভালোবাসার চেয়ে তাঁর জীবনে লক্ষ লক্ষ বিজেপি সমর্থকের আবেগের দাম বেশি। যেমন কথা তেমন কাজ। সোমবার রাতেই মিউচুয়াল ডিভোর্স চেয়ে সুজাতাকে আইনি নোটিস পাঠান সৌমিত্র খাঁ। আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠানো সেই নোটিসের ছত্রে ছত্রে স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ। সুজাতা খাঁ ঝগড়ুটে, সন্দেহপ্রবণ, অত্যাচারী, উচ্ছাকাঙ্খী এমনই অভিযোগ করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, সুজাতা চাইতেন বিজেপি ছেড়ে সৌমিত্র যেন তৃণমূলেই ফিরে যান। কিন্তু বিজেপির প্রতি দায়বদ্ধ সৌমিত্র তাতে কখনই রাজি ছিলেন না। এখানেই শেষ নয়, বিজেপিতে উচু পদের প্রত্যাশী ছিলেন সুজাতা। সৌমিত্র এ ব্যাপারে তদবির করবেন এমনটাই চাইতেন সুজাতা। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও দৃঢ়তার পরিচয় দেন সৌমিত্র। বিজেপিতে যে স্বজনপোষণের কোনও জায়গা নেই তাই বারবার বুঝিয়ে দিতেন সুজাতাকে। সৌমিত্রর অনময়নীয়তায় শেষমেশ ধৈর্য্য হারান সুজাতা। নানাভাবে নির্যাতন করতেন সৌমিত্রকে। এমনকি সৌমিত্রর পরিজনদেরও রেয়াত করতেন না। নোটিসে এমনই সব অভিযোগ করা হয়েছে সুজাতার বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়াই কাম্য বলে জানানো হয়েছে সুজাতাকে।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.