রাজ্যে বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান, শিল্পস্থাপন ও সরকার বদল। মূলত এই তিন দাবিকে সামনে রেখেই বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ১০টি বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠন। বামেদের সেই অভিযানে ধুন্ধুমার কাণ্ড ধর্মতলায়। আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান দিয়ে মিছিল আটকায় পুলিশ। পাল্টা ইটবৃষ্টি শুরু করে ছাত্র ও যুবরা। ফলে তুমুল অশান্তি বেঁধে যায়। কার্যত রণক্ষেত্রর চেহারা নেয় গোটা মধ্য কলকাতা। পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন বেশ কয়েকজন আন্দোনলকারী। মাথা ফাটে কয়েকজনের। আহত হন কয়েকজন পুলিশকর্মীও। নবান্নেও পৌঁছনোর চেষ্টা করেন কয়েকজন আন্দোলনকারী। তাদের আগেই আটকে দেয় পুলিশ। তাদের উপরেও পুলিশ লাঠি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। সন্ধের পরে আলিমুদ্দিনে সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হন সিপিআইএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম। তাঁর অভিযোগ, জলে ব্লিচিং মেশানো হয়েছিল। যাতে আন্দোলনকারীরা শরীরে অস্বস্তি অনুভব করেন। মেয়াদ উত্তীর্ণ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। পুলিশ বিনা প্ররোচনায় লাঠিচার্জ করেছে বলেও তোপ দেগেছেন তিনি। এর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামেরা। বাম ও বাম সহযোগী দলগুলির পক্ষে এক বিবৃতিতে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেন, শিক্ষার উন্নয়ন ও কাজের দাবিতে যে নবান্ন অভিযানের কর্মসূচি ছিল তাকে চারদিক থেকে ঘিরে খানিকটা জালিয়ানওয়ালাবাগের মতো অবস্থা তৈরি করে তৃণমূল সরকারের পুলিশ বাহিনী যে নির্মম অত্যাচার নামিয়ে এনেছে তাতে দেড়শোর বেশি ছাত্রছাত্রী ও যুবকযুবতী আহত হয়েছেন। তাদের অনেকের আঘাত গুরুতর। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্যে ১২ ঘণ্টা হরতাল ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার কাজের দিনে বামেরা ধর্মঘট ডাকায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসনও। শুক্রবার সন্ধেয় সরকারি এক নির্দেশিকায় রাজ্য সরকারি দফতরে কর্মীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.