প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। গত কয়েকদিনে সংক্রমনের সংখ্যা কিছুটা কমলেও তা আশাব্যাঞ্জক নয়। তবুও মানুষের মধ্যে হুঁশ ফিরছে না। চিন্তার ভাঁজ চিকিতসক মহলে।
রাজ্য সরকার 30 মে পর্যন্ত কার্যত লকডাউন ঘোষণা করায় দৈনিক সংক্রমণের হার গত কয়েকদিনে কিছুটা কমেছে। সেই সংখ্যা যদিও 20 হাজারের নীচে আছে ঠিকই। কিন্তু তা 19হাজারের নীচে নামেনি। পাশাপাশি এই চারদিনেই রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে। স্বভাবতই চিন্তায় চিকিতসক মহল।
রাজ্যে বেলাগাম সংক্রমণ। একনজরে দেখে নেব স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্যে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কত।
করোনার চালচিত্র ।
21শে মে
রাজ্যে মোট আক্রান্ত 12,29,805
একদিনে আক্রান্ত 19,847
একদিনে মৃত 159
সুস্থতার হার 88.11শতাংশ
রাজ্যে করোনা আক্রান্তের নিরিখে সবার আগে উত্তর 24 পরগনা। এরপরেই রয়েছে কলকাতা দুই জেলাতেই একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় 4 হাজার ছুঁই ছুঁই। একনজরে দেখে নেব রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুসারে সংক্রমণের নিরিখে এক থেকে 10 নম্বরে রয়েছে কোন কোন জেলা।
এক থেকে দশে কোন কোন জেলা
21শে মে
উঃ 24 পরগনায় একদিনে আক্রান্ত 4,240
কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত 3,560
হুগলিতে আক্রান্ত 1,393
দঃ 24 পরগনায় আক্রান্ত 1,296
হাওড়ায় আক্রান্ত 1,246
নদিয়ায় আক্রান্ত 1,091
পূর্ব মেদিনীপুর 972
পশ্চিম বর্ধমানে আক্রান্ত 730
পূর্ব বর্ধমানে আক্রান্ত 622
বীরভূমে আক্রান্ত 371
শনিবার সকাল থেকে দুর্গাপুর বাজারে উপচে পড়েছে মানুষের ভিড়। বারবার সচেতন করা সত্ত্বেও মানুষের মধ্যে কোনোই সচেতনতাই দেখা যায়নি। ফলে আস্ত বাজার সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় দেখছেনা প্রশাসনিক কর্তারা। গত বছর লকডাউনের সময় এই অস্থায়ী বাজার নির্মান করা হয়েছিল।
মানুষকে সচেতন করতে সরকারী উদ্যোগের কোনো অভাব নেই। এই পরিস্থিতিতে মানুষের নিজেকেও সচেতন হতে হবে সকলকে । তবে সেই শুভবুদ্ধির উদয় হবে কবে বা আদৌ হবে কিনা সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।