ওয়েব ডেস্ক : করোনা আবহে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হিট ডোম। উত্তর আমেরিকার একাংশে তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে, যে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমে এবং কানাডাতে এমন গরম আগে কখনও পড়েনি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধুমাত্র কানাডাতেই ৫দিনে প্রায় ৫০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ব্রিটিশ কলম্বিয়ার লিটনে। চলতি সপ্তাহে সেখানে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। জুনেও সেখানে গড় তাপমাত্রা ১২-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে। মরুভূমিতে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও, কলম্বিয়ায় তা প্রাণঘাতী। এরইমধ্যে উদ্বেগ দ্বিগুণ বাড়িয়েছে দাবানল। তড়িঘড়ি শহর খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রায় পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ভ্যাঙ্কুভারেও একই পরিস্থিতি। প্রাণ বাঁচাতে এসির জন্য অনেকেই ছুটে যাচ্ছেন ছোটখাটো হোটেলে। তিন থেকে চারগুণ দামে বিকোচ্ছে এসি। হিট ডোমে পুড়ছে ওয়াশিংটন, ওরেগনও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমুদ্রের গরম হাওয়াকে বায়ুমণ্ডল যখন উপর থেকে ভূপৃষ্ঠের দিকে ঠেলে দেয়, তখন গরম হাওয়ার গম্বুজ তৈরি হয়। তারই পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে হিট ডোম। সেক্ষেত্রে গরম হাওয়া বেরোতে না পারায়, ভূপৃষ্ঠে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এই পরিস্থিতি মেঘ তৈরির অনুকূল নয়।এর ফলে সূর্যের আলোর বিকিরণে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে এই হিট ডোমেই ভুগছেন কানাডা, উত্তর আমেরিকার মানুষ। কবে রেহাই মিলবে সেদিকেই তাকিয়ে বাসিন্দারা।