Date : 2024-05-01

Duare Ration Scheme : দুয়ারে রেশন প্রকল্প। ডিলারদের গাড়ি কেনায় ভর্তুকি রাজ্যের।

সঞ্জু সুর, রিপোর্টার : দুয়ারে রেশন প্রকল্পে রেশন ডিলারদের গাড়ি কেনার জন্য অর্থ সাহায্য করবে সরকার। তিন বা চার চাকার গাড়ি কেনার জন্য গাড়ির এক্স শোরুম দামের ২০ শতাংশ বা সর্বাধিক এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি প্রদান করা হবে। এই বিষয়ে মেমো ইস্যু করলো রাজ্য খাদ্য দফতর।মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্প কার্যকর করতে ইতিমধ্যেই পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে রাজ্যের সব জেলায় বাছাই করা রেশন ডিলারদের মাধ্যমে রেশন পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। উপভোক্তাদের বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি সমস্যার কথা খাদ্য দফতরকে জানিয়েছেন বিভিন্ন রেশন ডিলাররা। তারমধ্যে অন্যতম হল গাড়ির সমস্যা। কারণ বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এক একজন রেশন ডিলারকে পুরো খাদ্য সামগ্রী গাড়িতে করে নিয়ে যেতে হচ্ছে।

অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারছেন না ডিলাররা। রেশন ডিলারদের বক্তব্য, রেশন বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গাড়ি ভাড়ার খরচ অনেক পরে যাচ্ছে। অনেক সময় গাড়িও পাওয়া যাচ্ছে না। একদিন গাড়ি পেলে, পরের দিন হয়তো গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ব্যহত হচ্ছে রেশন বিলি ব্যবস্থা। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে ডিলারদের নিজস্ব গাড়ি কেনার জন্য আর্থিক সাহায্য করার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। ইতিমধ্যেই অর্থ দফতরের অনুমোদন মিলেছে।

খাদ্য দফতরের জারি করা মেমো অনুযায়ী গাড়ি কেনার জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে আবেদন করতে হবে রেশন ডিলারদের। ডিলারশিপের রেজিস্ট্রেশন যার নামে আছে তাকেই আবেদন করতে হবে। আবেদন করার সময় সেল্ফ অ্যাটেস্টড ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে রেশন ডিলারদের। আধার কার্ড, প্যান কার্ড, গাড়ির সেল ইনভয়েস, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সহ মোট সাতটি ডকুমেন্ট আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। সেই আবেদন খতিয়ে দেখবে খাদ্য দফতর। তারপরেই আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হবে। দফতরের মেমো তে এটাও বলা হয়েছে, তিন বা চার চাকার নতুন গাড়ি কিনতে হবে। ছাউনি যুক্ত গাড়ি, গাড়িতে রেশন সামগ্রীর পাশাপাশি ওজন মেশিন, ই-পস(e-POS) মেশিন সহ লাইটের ব্যবস্থা রাখতে হবে। পরিবহন দফতরকেও জানানো হয়েছে রেশন ডিলাররা গাড়ি হাতে পাওয়ার পর সেই গাড়ি যাতে সাত দিনের মধ্যে পরিবহন দফতরের ছাড়পত্র পায়, সেটা দেখতে হবে। রেশন ডিলারদের গাড়ি কেনার জন্য সরকারি ভর্তুকির ব্যবস্থা করলে অনেকগুলো সমস্যা মেটানো যাবে বলেই মনে করছে রাজ্য খাদ্য ও সরবরাহ দফতর।