সঞ্জু সুর, রিপোর্টার : লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদনকারী সবার অ্যাকাউন্টেই যাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া যায় তারজন্য নতুন করে নির্দেশিকা জারি করলো নবান্ন। জমা দেওয়া আবেদনপত্রে যদি কিছু খামতি থেকে থাকে তাহলে প্রশাসনের তরফ থেকেই সেই বিষয়টি ভেরিফাই করে আবেদনের যথাযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবারই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে বাংলার এক কোটি মায়েদের অ্যাকাউন্টে দুই মাসের (সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর) টাকা পৌঁছে গিয়েছে। এখনো বাকি আছে প্রায় ৬০ লক্ষ প্রাপকের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছানো। বাকি থাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে এই মাসের মধ্যেই টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে নির্দেশ গিয়েছে প্রতিটা জেলা প্রশাসনের কাছে। এদিকে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে যে আবেদন জমা পড়েছিলো তার মধ্যে একটা বড় অংশের আবেদনে জটিলতা থাকায় তাদের টাকা দেওয়া যাচ্ছে না। এই সমস্যা মেটাতে শুক্রবার নতুন করে নির্দেশিকা জারি করা হলো নারী ও শিশু কল্যান দফতরের পক্ষ থেকে।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে যে আবেদন জমা পড়েছে তার মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে আবেদনপত্র অসম্পূর্ণ। কোথাও ব্যাঙ্ক ডিটেইলস ঠিকমতো দেওয়া হয় নি, কোথাও আধার কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র বা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও সম্পূর্ণরূপে দেওয়া হয় নি। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ঘোষনার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যাদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড রয়েছে তারা ওই কার্ড দেখিয়েই আবেদন করতে পারবে। কিন্তু দেখা গিয়েছে এমন প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে যাদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেই। শুক্রবার নতুন যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে এমন আবেদনপত্রের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেই ভেরিফিকেশন করতে হবে। ভেরিফিকেশন করার পর যদি দেখা যায় উক্ত আবেদনকারী স্বাস্থ্য সাথী কার্ড বা আধার কার্ড বা জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য তাহলে তার এইসব কার্ড এখন না থাকলেও তাকে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের যোগ্য প্রাপক হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। সেই সঙ্গে মুখ্যসচিবের পক্ষ থেকে এটাও জেলা প্রশাসনগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে খতিয়ে দেখে যোগ্য প্রাপকদের দুই মাসের টাকা ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ পরবর্তী দুয়ারে সরকার ক্যাম্প শুরু হওয়ার সময় এগিয়ে আসছে। সেই সময় আবার নতুন করে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন জমা পড়তে শুরু করবে। তাই প্রথম ক্যাম্পে আবেদনকারীদের সবার প্রাপ্য তার আগেই মিটিয়ে দিতে হবে।