পৌষালী সেনগুপ্ত, নিউজ ডেস্ক : আফগানিস্তানের দু’টি নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি, শান্তি ও আইনসভা বিষয়ক রাষ্ট্রীয় মন্ত্রক বন্ধ করল ক্ষমতাসীন তালিবান। তালিবানের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন। আফগানিস্তানের তালিবানের সহকারী মুখপাত্র বিলাল করিমি জানান, দেশের স্বশাসিত নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচনী অভিযোগ কমিশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে এই প্রতিষ্ঠানগুলি অপ্রয়োজনীয়। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে তালিবান ফের নির্বাচন কমিশন চালু করতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। উভয় নির্বাচন কমিশনই রাষ্ট্রপতি, আইনসভা এবং প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন-সহ দেশের সব ধরনের নির্বাচন পরিচালনা ও দেখভালের দায়িত্বে ছিল।করিমি আরও জানান, তালিবান শান্তি এবং আইনসভা বিষয়ক মন্ত্রক ভেঙে দিয়েছে। বর্তমান কাঠামোতে এই মন্ত্রকগুলিও অপ্রয়োজনীয় বলে তিনি দাবি করেছেন। আফগানিস্তানের নতুন শাসকদের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার আগে তাদের নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের দিকে বিশেষ নজর রাখছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলি। সুষ্ঠু শাসনের আশ্বাস দেওয়ার পরেও তালিবান কঠোর শাসন চাপিয়ে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলি।প্রায় দুই দশকের গণতান্ত্রিক শাসনের পর আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফিরেছে তালিবান। গোড়ার দিকে নিজেদের শুধরে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সময়ের সঙ্গে আরও কটু ভাবে নিজেদের স্বরূপ প্রকাশ করছে জঙ্গিগোষ্ঠীটি। দেশে নির্বাচন কমিশন,শান্তি ও আইনসভা বিষয়ক রাষ্ট্রীয় মন্ত্রক সেগুলির নাকি আর ‘প্রয়োজন নেই’।তাই বন্ধের সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই চিন্তার ভাঁজ বিশেষজ্ঞ মহলে।তাঁদের অনেকেই মনে করছেন জোর করে তালিবানি সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার জন্যই এই পন্থা অবলম্বন করেছে তালিবানি জঙ্গিগোষ্ঠীটি।অনেকেই মনে করছেন তালিবান যেহেতু গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনা তাই তাদের এই সিদ্ধান্ত। আর তাদের এই সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক মহলে দেশ ও দেশের মানুষের ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়েছে।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.