নাজিয়া রহমান, রিপোর্টার : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ফের সরব ডিএসও। অনলাইন নয়, অফলাইনে শুরু করতে হবে পঠন-পাঠন। ১৬ নভেম্বর স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন পাঠন শুরু হয় অফলাইনে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা স্কুলে আসতে শুরু করে। প্রায় ২০ মাস পরে খোলে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজাও। তবে মাস খানেক অফলাইনে পঠনপাঠন হওয়ার পর, অমিক্রনের আক্রমণ থেকে পড়ুয়াদের বাঁচাতে ফের বন্ধ করে দিতে হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অমিক্রনের গ্রাফ এখন অনেকটায় নিম্নমুখী। তাই এবার খোলা হোক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমনই দাবি ডিএসও-র।দ্রুত স্কুলে পঠনপাঠনের উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা ও ছাত্রছাত্রীদের ভ্যাকসিনেশানের প্রক্রিয়া চালু রেখে অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে হবে এই দাবিতে ২০-২১ জানুয়ারি এই নিয়ে রাজ্য জুড়ে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হবে ডিএসও এর সদস্যরা বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক মণিশঙ্কর পট্টনায়ক।
এই অতিমারির সময়ে ট্রেন বাস,মেলা,নির্বাচন, বাজার, হাট,পানশালা সহ সমস্ত কিছু খোলা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা চালু করা যায় সে বিষয়ে সরকার পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় ৷ আন্দোলনকারীদের দাবি, যেখানে বিশ্বের নানান বিশেষজ্ঞ মতে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ যখন ক্রমশ নিয়ন্ত্রণে আসছে, তখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা হোক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এছাড়াও ডিএসও-র দাবি,প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বন্ধ থাকার ফলে এ রাজ্যের এক বিরাট অংশের ছাত্র-ছাত্রী ইতিমধ্যেই শিক্ষার আঙিনা থেকে দূরে সরে গিয়েছে ৷ বেড়েছে স্কুল ছুটের সংখ্যাও। গরীব মধ্যবিত্ত পরিবারের পড়ুয়াদের শিক্ষা গভীর সংকটের সম্মুখীন হয়েছে আবার অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সামাজিকতার পাঠ ব্যাহত হওয়ার ফলে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে নানান মানসিক ব্যাধির প্রবনতা বেড়েছেও।
এই প্রতিবাদের অঙ্গ হিসাবে আগামী ২০-২১ জানুয়ারি কলকাতা সহ রাজ্যের সমস্ত জেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে যে অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচী গ্রহণ করেছে ডিএসও-র সদস্যরা, সেই আন্দোলনে এরাজ্যের ছাত্রছাত্রী-শিক্ষক-অভিভাবক সহ সচেতন নাগরিকেও সামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।