সায়ান্তিকা ব্যানার্জি, রিপোর্টার : দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওষুধের দাম। গত কয়েক মাসে মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়েছে ওষুধের দাম। যার ফলে পকেটে টান পড়ছে সাধারণ মানুষের। কার্যত এত দাম দিয়ে ওষুধ কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে তাদের।
শুধু সাধারণ মানুষই নন। এই বর্ধিত ওষুধের দাম ওষুধ ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া করছে। তারা জানাচ্ছেন তাদের ব্যবসাতেও একটা বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে। অনেক ক্রেতাই আগের দামে ওষুধ চাইছেন যা দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভবপর হচ্ছে না। তাই কিছুটা ছাড় দিচ্ছেন তারা কিন্তু তাতেও লাভ হচ্ছে না সাধারণ মানুষের।
গত কয়েক মাসে প্রেশার সুগার হার্ট প্রস্টেট জনিত সমস্যা, গ্যাস -সহ যাবতীয় ওষুধের দামই বেড়ে গিয়েছে। দাম বেড়েছে ইনহেলারেরও। এজিথ্রোমাইসিনের মত এন্টিবায়োটিকেরও দাম বেড়েছে। যা আগে ছিল ১০২টাকা এখন তা হয়েছে ১১৬ টাকা। সর্দির জন্য ব্যবহৃত রেসওয়াশ সিরাপের দাম গত ২ মাসে ২০টাকা বেড়েছে। সেরোফ্লো ২৫০ ইনহেলারের দাম প্রায় ১০০টাকা বেড়েছে মাস ছয়েকের মধ্যে। সুগারের ওষুধ লিনাগলিপ্টিনের দাম আগে ছিল ৪৮০ টাকা তা বেড়ে হয়েছে ৫২০টাকা। এভাবে মোটামুটি সব ওষুধেরই দাম বেড়েছে।
জানা গেছে প্রতি বছরই ১০ শতাংশ হারে বাড়ে ওষুধের দাম। কিন্তু করোনা আবহে এই মূল্য বৃদ্ধি যেন আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই।