রিমিতা রায়, নিউজ ডেস্ক : বুধবার ৭৩তম সাধারণতন্ত্র দিবস। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে নিরাপত্তা মুড়ে ফেলা হচ্ছে দিল্লিকে। জঙ্গি নাশকতার সম্ভাবনার পাশাপাশি বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণও দিল্লি পুলিশের চিন্তা আরও বাড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, পুলিশকে রাজধানীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ এক বড় আকর্ষক দেশবাসীর কাছে। সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নেয় বিবিন্ন রাজ্যের ট্যাবলো। এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি রাজপথে দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। প্যারেডে অংশগ্রহণ করে ভারতীয় সেনা, নৌ ও বায়ুসেনা। ট্যাবলোগুলি দেশের নানা সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে। দেশের নানা ধরনের সংস্কৃতির সঙ্গে দেশবাসী বা বিদেশের মানুষের পরিচয় করায়।এ দিন রাষ্ট্রপতি পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রদান করেন।
সেনাবাহিনীতে বীরত্বের জন্যও এদিন পরম বীর চক্র, অশোক চক্র এবং বীর চক্র দেওয়া হয়।তবে এবছর করোনা আবহে সাধারণতন্ত্র দিবেসর অনুষ্ঠানে কাটছাঁট করা হয়েছে। থাকছেন না কোনও বিদেশী অতিথি।বেলা ১০ টার বদলে অনুষ্ঠান শুরু হবে বেলা ১০.৩০টায়।করোনা আবহে কুচকাওয়াজ শুরু রাইসিনা হিলসে। অন্যবার কুচকাওয়াজ শেষ হয় রেড ফোর্টে। তবে এবছর করোনাকালে সেই পথ কমানো হয়েছে। এবছর কুচকাওয়াজ শেষ হবে ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। তবে রেড ফোর্ট পর্যন্ত সুসজ্জিত ট্যাবলোগুলো যাবে।২১টি ট্যাবলো যাবে রেড ফোর্ট পর্যন্ত।কুচকাওয়াজে সেনার ১৬টি শাখার প্রদর্শনী দেখা যাবে। এরমধ্যে ৮টি সশস্ত্র বাহিনীর। ৪টি সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর।২টি এনসিসি-র ও ১টি দিল্লি পুলিশ, 1১টি এনএসএস-র। দর্শকের সংখ্যাও এবার কমানো হয়েছে অনেকটাই। দর্শকের সংখ্যা কমিয়ে ৫ হাজার থেকে ৮ হাজারের মধ্যে রাখা হয়েছে। দর্শকদের মাস্ক পরে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হবে। তবে এবছর উপস্থিত থাকবেন না কোনও বিদেশি অতিথি। ১৫ বছরের নিচে শিশুদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।বিটিং রিট্রিটের জন্য বিশেষ ড্রোন শোয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ১০০০ ড্রোনের ব্যবহার করা হবে।