রিমিতা রায়, নিউজ ডেস্ক : প্রতিটা বাড়িতে একটা তুলসী তলা দেখাই যায়। প্রাচীন কাল থেকে তুলসীর ভেষজ গুণ নিয়ে আলোচনা করে এসেছেন মুনি ঋষিরা। ঠান্ডা লাগলে তুলসী পাতা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। গলার সব রকম সমস্যায় তুলসী পাতা ব্যবহৃত হয়।তুলসী পাতা হল প্রোফাইল্যাক্টিভ যা পোকামাকড় কামড়ে দিলে উপসম করতে সক্ষম। পোকার কামড়ে আক্রান্ত স্থানে তুলসী পাতার তাজা রস লাগিয়ে রাখলে পোকার কামড়ের ব্যথা ও জ্বালা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও তুলসীর রয়েছে একাধির গুণ। তুলসী পাতায় আছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো হার্টকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত রাখে সহায়তা করে। তুলসী পাতা হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও এর স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তুলসীকে নার্ভের টনিকও বলা হয়।শুধু তাই নয়, এটা স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য বেশ উপকারী। তুলসী পাতা পাকস্থলীর ও কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।তুলসী পাতার একাধিক উপকারিতা রয়েছে, যা শারীরিক সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ত্বক ও চুলের জন্যও খুবই উপকারী। অবাক হবেন না। চুল ভালো রাখতে তুলসী পাতা বিশেষ কাজ করে। খাওয়া ছাড়াও, অনেকে তাঁদের চুলে তুলসী পাতার পেস্টও লাগান। তুলসীতে পাওয়া ঔষধিগুণ নানাভাবে চুলের উপকার করে। সেই সঙ্গে চুল পড়া খুশকি ও শুষ্ক চুল থেকে মুক্তি পেতে নানাভাবে ব্যবহার করা যায়। মাথা ব্যথা ও শরীরের নানা ব্যথা কমাতে তুলসী খুবই উপকারী। এর বিশেষ উপাদান মাংশপেশীর খিঁচুনি রোধ করতে সহায়তা করে।সর্দি-কাশি হলে তুলসী পাতার নির্যাসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে অনেক তাড়াতাড়ি উপশম পাওয়া যায় ।তুলসী গাছের প্রায় প্রতিটি অংশই ডায়াবেটিস এর জন্য খুব উপকারী | তুলসী পাতার রস খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে।তুলসী পাতায় নানা রকমের মানসিক চাপ বিরোধী উপাদান রয়েছে যা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।বর্তমানের এই ব্যস্ততার জীবনে আমাদের মানসিক স্বাস্থের দিকে নজর দেওয়া খুবই প্রয়োজন।