রিমিতা রায়, নিউজ ডেস্ক : প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শাকসবজি রাখি ঠিকই। কিন্তু তার গুনাগুন না জেনেই আমরা খেয়ে নি। নিয়ম করে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সবুজ শাক সব্জি রাখা প্রয়োজন।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা সবজির গুণগত মান না জেনেই ভিটামিন ও খনিজ লবণ পাওয়ার জন্য খাই। অথচ কোনো কোনো সবজি স্বাস্থ্যের ওপর ভালো-খারাপ দুটিরই প্রভাব রয়েছে। খেতে বসে প্রথম ডিশ হিসেবে যদি তেতো খাওয়া হয়, তা হলে তা মুখে লালা ক্ষরণ করে শ্বেতসার ভাঙতে সাহায্য করে। এতে হজমের সুবিধা হয় ও লিভার ভালো থাকে। সেক্ষেত্রে নিম গাছের কচি পাতা ভেজেও খাওয়া যায়।সবজিতে ক্যানসার প্রতিরোধক আইসোসায়ানেট, ইনডোল, সালফোরাফেন থাকে। যা শরীরে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানগুলো ধ্বংস করে। এসব সবজি ও ফল চোখের জন্য ভালো। এতে বি ফলিক অ্যাসিড থাকে যা গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। সবুজ রঙের সবজির মধ্যে ব্রকলি, বাঁধাকপি, শালগম, শিম, বরবটি, করলা, শসা, সবুজ রঙের শাক, পুদিনাপাতা, ধনেপাতা, সবুজ চা ইত্যাদি অন্যতম।সবুজ টমেটোতে রয়েছে লাল টমেটোর থেকেও বেশি পরিমাণ ভিটামিন সি। আর তাই শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রে এটি খুবই উপকারি। পাশাপাশি হাড়, দাঁত, মাড়ি এবং ত্বকের জন্য বেশ উপকারী এই ভিটামিন সি। ভিটামিন সি শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়াতে সাহায্য করে ফলে সর্দি-কাশির সঙ্গে লড়ায় করতে পারে সহজেই।আবার ধনেপাতা ও পুদিনাপাতার চাটনি এক মাস খেলে উপকার পাওয়া যাবে। গাঢ় সবুজ ও হলুদ শাকসবজি রাতকানা রোগ, হাড় ও দাঁত গঠনে এবং স্নায়বিক অসুস্থতায় বেশ উপকারী। শিম, মটরশুটি, বরবটি, পালংশাক, ফুলকপি ইত্যাদি গেঁটেবাত হলে খাওযা যাবে না। এবার নানার সবজির কিছু অপকারিতা রয়েছে।বাঁধাকপি, মুলা, শিম, শাক, মটরশুটি পরিপাকে অসুবিধা হয় বলে গ্যাসট্রাইটিস বেড়ে যায়। আলসারের রোগীর কাঁচা সবজি, পেঁয়াজ, বাঁধাকপি, ডাঁটা, কাঁচামরিচ, কাঁচা শসা, বরবটি বাদ দিলে ভালো হয়।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.